পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভা ভোটে ব্যর্থতা পর্যালোচনার জন্য এবার কমিটি গঠন করে দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এই কমিটিকে ২ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় দলের তরফে আরও একটি কমিটি গঠন করেছেন সনিয়া।কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় কীভাবে কাজ হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখে দলকে রিপোর্ট দেবে এই কমিটি।
পাঁচ রাজ্যের ফলাফল পর্যালোচনার জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাতে রয়েছেন অশোক চহ্বন, সলমন খুরশিদ, মনীশ তিওয়ারি, ভিনসেন্ট পালা ও জোথি মানি।কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন অশোক চহ্বন। এই কমিটির কাজ হল, পাঁচ রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবির কারণ খুঁজে বের করে সেই রিপোর্ট পেশ করা। পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে যেখানে কংগ্রেস গত বিধানসভা ভোটে বেশ কয়েকটি আসনে জিতেছিল, সেখানে নিশ্চিহ্ হয়ে যায়। কেন মানুষের সমর্থন কংগ্রেসের কাছ থেকে চলে গেল তা খুঁজে বের করতেই এই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর।
অন্যদিকে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা ঠিক রয়েছে কিনা, তা পর্যালোচনা করার জন্য ও দলের তরফে এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী কাজ করা হচ্ছে, তা দেখার জন্য আরও একটি গঠন করেছে কংগ্রেস হাই কমান্ড। এই কমিটির নেতৃত্বে রাখা হয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী গুলাম নবি আজাদকে। এছাড়াও এই কমিটিতে যে ১৩ জন আছেন তাঁরা হলেন অম্বিকা সোনি, মুকুল ওয়াসনিক, পবন বনশল, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা, কে সি বেনুগোপাল, জয়রাম রমেশ, রণদীপ সুরজেওয়ালা, মনীশ ছতরথ, অজয় কুমার, পবন খেরা, গুপদীপ সিং সাপ্পল ও সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি বিভি শ্রীনিবাস।
উল্লেখযোগ্য বিষয়, এই দুই কমিটিতেই এমন সব নেতাদের রাখা হয়েছে যারা একসময়ে দলের খোলনোলচে পাল্টানোর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। এদের মধ্যে একজন ছিলেন গুলাম নবি আজাদ। গত ১৭ এপ্রিল যখন কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সমিতির বৈঠক হয়, সেখানে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী প্রস্তাব দিয়েছিলেন, রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা হিসাবে মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া গুলাম নবি আজাদকে যেন দলের কাজেই বহাল করা হয়। সম্প্রতি কংগ্রেস হাই কমান্ডের তরফে যে নতুন দুটি কমিটি গঠন করা হল, তাতে গুলাম নবি আজাদ তো এলেনই, সেইসঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন নেতা জায়গা করে নিলেন, যারা কংগ্রেসের সাংগঠিক রদবদল মনে প্রাণে চাইছিলেন।