বৈধ নথি না থাকায় ৪২,০০০ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পাঠাতে চায় সৌদি আরব। দেশটির দাবি, ওই রোহিঙ্গাদের কাছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট মিলেছে। কিন্তু কাজ করার অনুমতির মেয়াদ ফুরিয়েছে তাদের। যদিও ঢাকার দাবি, এমন কোনও প্রস্তাব তাদের দেয়নি সৌদি প্রশাসন।
বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৬ সাল থেকে এই রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের ওপর চাপ দিচ্ছে সৌদি আরব। এই নিয়ে গত ১৩ জানুয়ারিও দুদেশের মধ্যে কথা হয়েছে। তবে কোনও সদর্থক ইঙ্গিত মেলেনি বাংলাদেশের তরফে।
হাসিনা সরকারের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের কাছে সৌদি আরব আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানায়নি। অবৈধ ভাবে অভিবাসী রোহিঙ্গারা যদি বাংলাদেশের নাগরিক হন তাহলে ভেবে দেখা যাবে। নইলে আমরা শুধু শুধু কেন নিতে যাব।’
বাংলাদেশের এক বরিষ্ঠ কূটনীতিক মেজর জেনারেল শহিদুল হক জানিয়েছেন, ‘হজে গিয়ে আমি বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী রোহিঙ্গা দেখেছি। ১৯৭৮ সালে সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মোট ৫ লক্ষ রোহিঙ্গাকে পাসপোর্ট দিয়েছিল। সেই পাসপোর্ট নিয়ে কেউ সৌদি আরব যেতে পারেন। তাদের নিয়ে কথা বললে ঠিক করছে না সৌদি আরব।’
বলে রাখি, মায়ানমারের উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে শাঁখের করাতে পড়েছে বাংলাদেশ। প্রায় ৭ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী বর্তমানে কক্সবাজার ও টেকনাফ অঞ্চলে আশ্রয় তৈরি করে রয়েছেন। অপরাধপ্রবণ রোহিঙ্গাদের উৎপাতে নাজেহাল দশা বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের। এরই মধ্যে গত কাল সেদেশের ছেঁড়া দ্বীপের কাছে ট্রলার উলটে মৃত্যু হয়েছে বহু রোহিঙ্গার। ট্রলারে করে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় পালাচ্ছিল তারা।