কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে কি আরও বিপাকে সুইডিশ সংস্থা ট্রুকলার? কারণ সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই সংস্থার ভারতীয় অফিসগুলি থেকে এই অভিযোগের প্রমাণ স্বরূপ বিভিন্ন নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এমনকী, তদন্তকারীদের হাতে বেশ কিছু ডিজিট্যাল নথিও এসেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার এই সংস্থার ভারতের একাধিক অফিসে সমীক্ষা অভিযান চালান আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা। শুক্রবার সিএনএন-নিউজ১৮ -এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বৃহস্পতিবারের সেই অভিযানেই নাকি সাফল্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
সংশ্লিষ্ট তথ্য অনুসারে, ভারতে ট্রু কলারের গুরুগ্রাম এবং বেঙ্গালুরুর অফিসে এই অভিযান চালানো হয়েছে। অন্যদিকে, সংস্থার স্টকহোমের সদর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা তদন্তকারীদের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে।
আয়কর আধিকারিকদের সংশ্লিষ্ট সূত্র এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে, এই সমীক্ষা অভিযানের প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল, কর ফাঁকি সংক্রান্ত অভিযোগের সত্যাসত্য যাচাই করা এবং এই সম্পর্কিত তথ্যপ্রমাণ ও নথি সংগ্রহ করা।
এর পাশাপাশি, ট্রান্সফার প্রাইসিং নিয়ে যে অভিযোগ উঠছে, তাও খতিয়ে দেখছেন আয়কর আধিকারিকরা।
এর আগে আয়কর বিভাগের আধিকারিকদের তরফে জানা গিয়েছিল, এটি আসলে তল্লাশি অভিযান। প্রসঙ্গত, কেবলমাত্র তদন্ত প্রক্রিয়ার অধীনে থাকা কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার অধীনে থাকা কোনও স্থানেই এই ধরনের সমীক্ষা বা তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।
ট্রুকলারের ওয়েবসাইট বলছে, ভারতে মোট তিনটি শহরে তাদের অফিস রয়েছে। এগুলি হল - বেঙ্গালুরু, মুম্বই এবং গুরুগ্রাম।
সংস্থার তরফে আমজনতার উদ্দেশে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, 'বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ - ২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর ট্রুকলারের ভারতে অবস্থিত অফিসগুলি আয়কর আধিকারিকরা পরিদর্শন করেছেন।'
ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, 'আমাদের অফিসগুলিতে এই মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সঙ্গে ট্রুকলার কর্তৃপক্ষ পূর্ণ সহযোগিতা করছে। এই অভিযান সম্পর্কে আমাদের আগে থেকে কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। ট্রুকলার এই মুহূর্তে সরকারিভাবে ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করছে। এবং আয়কর বিভাগের তরফে যোগাযোগ করার অপেক্ষায় রয়েছে।'
সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে, এই ধরনের ঘটনা মোটেও ব্যতিক্রমী কিছু নয়। এবং ট্রুকলার কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করবে।
সংস্থার আরও দাবি, তারা 'সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা' বজায় রেখেই মানুষকে এবং গ্রাহকদের পরিষেবা দেয়। যদিও একইসঙ্গে সংস্থার তরফে আরও দাবি করা হয়, সাধারণ এবং নিয়মিত কর অডিট ছাড়া আর কোনও ধরনের আয়কর সংক্রান্ত তদন্তের মধ্য়ে দিয়ে ট্রুকলারকে যেতে হচ্ছে না।
ট্রুকলারের আরও দাবি, ভারতে কাজ করার জন্য তাদের যে কর দেওয়ার কথা, তার সবটুকুই তারা দিয়েছে। যে যে অঞ্চলের ট্রুকলার কাজ করছে, সেখানকার নিয়ম মেনেই তারা কর প্রদান করেছে বলেও সংশ্লিষ্ট বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।
ট্রুকলারের ওয়েবসাইট অনুসারে, প্রতি মাসে ৪২৫ মিলিয়ন ইউজার তাদের পরিষেবা সরাসরি ব্যবহার করেন।