প্রেসিডেন্টের কুর্সি বাঁচাতে কোনও সাহায্য করতে পারেনি। কিন্তু, শেষমেশ আশ্রয় প্রদান করতে পারল! হ্যাঁ! সূত্রের দাবি সত্যি হলে, সিরিয়া থেকে সদ্য উৎখাত হওয়া প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে আশ্রয় দিয়েছে তাঁর বন্ধু দেশ রাশিয়া। সদ্য যে খবর সামনে আসছে, তাতে অন্তত এমনটাই দাবি করা হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বাশার আল-আসাদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ইতিমধ্যেই রাশিয়া পৌঁছে গিয়েছেন। সেখানে তাঁদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
রয়টার্সের তরফে আরও দাবি করা হচ্ছে, রবিবার রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমের তরফেই নাকি এই খবর প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। রুশ সরকারি আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে এই খবরের সত্যতা দাবি করেছে সেদেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম। ক্রেমলিনের তরফ থেকেও একই দাবি করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যম ইন্টারফ্যাক্স-এর পক্ষ থেকে কোনও এক অজ্ঞাত সূত্রকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, 'সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ মস্কোয় পৌঁছেছেন। রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাঁদের (তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের) আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। মানবিকতার দিক দিয়ে তাঁদের এই আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।'
প্রসঙ্গত, রবিবারই খবর আসে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ঢুকে পড়েছে বিদ্রোহীরা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূত্র মারফত সেই সময় দাবি করা হয়, অবস্থা হাতের বাইরে চলে গিয়েছে বুঝেই দামাস্কাস তথা সিরিয়া ছেড়ে চম্পট দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
সিরিয়ার সেনাবাহিনীর দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিককে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়, বিমানে কোনও এক অজ্ঞাত গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বাশার আল-আসাদ-সহ পরিবারের অন্যরা।
ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ছবি ও ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, বাশারের ছেড়ে যাওয়া প্রাসাদে ঢুকে পড়েছে আমজনতা। অবাধে চলছে লুটপাট! এর থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়, বাশার সত্যিই আর দামাস্কাসের ওই প্রাসাদে অন্তত নেই।
অন্যদিকে, আরও একটি ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট বাশারের পেল্লায় মূর্তি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিচ্ছেন সিরিয়ার নাগরিকরা।
এদিকে, বিদ্রোহীদের তরফে দাবি করা হয়, তারা দামাস্কাসে ঢুকে পড়েছে। দখল করে নিয়েছে দেশের রাজধানী শহর এবং দামাস্কাস তথা সিরিয়া ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। বিদ্রোহীরা তাঁর স্বৈরাচারী শাসন থেকে সিরিয়াকে স্বাধীন করে দিয়েছে বলেও ঘোষণা করে!
ইতিমধ্যে বাশার কোথায় আছেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। এমনকী, একটা সময় বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যুর আশঙ্কা পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু, কোনও নির্ভরযোগ্য সূত্র সেই তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেনি।
এরই মধ্যে জানা গেল, বাশার আসলে পরিবার নিয়ে সটান পুতিনের দেশে গিয়ে হাজির হয়েছেন। যদিও এই দাবি করা হচ্ছে রুশ সরকারি সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে। প্রসঙ্গত, এর আগে সোশাল মিডিয়ায় বাশার আল-আসাদকে সহযোগিতা না করার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচনা করে সরব হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে পুনরায় নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প!