দক্ষিণ আফ্রিকার বোকসবার্গ শহরের একটি বসতিপূর্ণ এলাকায় বিষাক্ত গ্যাসের জেরে মৃত্যু কমপক্ষে ২৪ জনের। একুরহুলেনি প্রদেশে অবস্থিত এই বোকসবার্গ শহরটি। মৃতদের মধ্যে একাধিক নারী ও শিশু রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিষাক্ত নাইট্রেট অক্সাইড গ্যাস শরীরে চলে যাওয়ার কারণেই মৃত্যু হয় এই ২৪ জনের। ঘটনায় অসুস্থ হয়েছেন আরও অনেকে। জানা গিয়েছে, অবৈধ খনি ব্যবসায়ীদের ব্যবহার করা গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই নাইট্রেট অক্সাইড ছড়িয়ে পড়ে। একুরহুলেনি প্রদেশের জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবা দফতরের মুখপাত্র উইলিয়াম নটাদি জানান, আরও কেউ অসুস্থ অবস্থায় বসতিতে পড়ে রয়েছেন কি না, সেই খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়। (আরও পড়ুন: খলিস্তানি হুমকি ইস্যুতে কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের, মুখ খুললেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী)
উল্লেখ্য, বোকসবার্গের উপকণ্ঠে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই জমি মাফিয়া এবং কিছু স্থানীয় মানুষ খনন কার্জ চালায়। কেউ হিরের খোঁজে তো কেউ অন্য কোনও ধাতুর খোঁজে এই খনন কার্জ চালায়। তো সেই কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার লিকের কারণেই এই মর্মান্তি ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। এদিকে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে প্যারামেডিকের দল গিয়ে পৌঁছায়। তবে তারা গিয়ে দেখে যে বহু মানুষ ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছে। যারা বেঁচে আছে, তাদের পরিস্থিতি খুবই আশঙ্কাজনক বা গুরুতর। এই আবহে তাদেরকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, গতরাত স্থানীয় সময় ৮টার নাগাদ এই গ্যাস লিকের ঘটনা ঘটে। পরে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই অনেক মানুষ মারা যায় সেখানেই। জানা গিয়েছে, যে অবৈধ খনি ব্যবসায়ীরা সোনা খুঁজে পায়, তারা তা সাফাই করার জন্যই গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে ঘোরে। জানা গিয়েছে, যখন এই গ্যাস সিলিন্ডার লিকের ঘটনা ঘটে, তখন অনেকেই ঘুমাচ্ছিল সেখানে। ঘুমন্ত অবস্থাতেই স্বাসরোধ হয়ে মারা যায় তারা। কয়েকজন জেগে যায়, তারা আগুন ধরিয়ে সেই গ্যাসটিকে জ্বালানোর চেষ্টা করে যাতে তা ছড়িয়ে না পড়ে। তবে তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। মৃতদের মধ্যে একজন দু'বছর এবং একজন পাঁচবছরের শিশু রয়েছে। স্থানীয় পুলিশ জানায়, প্রাথমিক ভাবে তাদের কাছে যখন ফোন আসে, তখন বলা হয়, একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। পরে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে বুঝতে পারে যে গ্যাস লিকের কারণে এই মর্মান্তির পরিণতি ঘটেছে এত মানুষের।