দক্ষিণ কোরিয়াতে গতকালই সামরিক শাসন জারি করেছিলেন সেখানকার রাষ্ট্রপতি ইয়ুন সুক ইওল। তবে দক্ষিণ করিয়ার সংসদের ভোটাভুটিতে সেই সামরিক শাসনের অবসান ঘটে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। এই আবহে সেই দেশের প্রধান বিরোধী দল এবার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওলকে আল্টিমেটাম দিল পদ ছাড়ার জন্যে। নয়ত ইয়ুনকে ইমপিচ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিল কোরিয়ার বিরোধী দল। উল্লেখ্য, ৩০০ সদস্যের দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ হল বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। তারা এক বিবৃতি প্রকাশ করে এই নিয়ে বলে, 'প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওলের ডাকা এই সামরিক শাসন সংবিধান বিরোধী। কোনও নিয়মেই এই সামরিক শাসনের ডাক দেওয়া যায় না বর্তমানে। এই কাজ করায় প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট মোশন আনা যায়।' (আরও পড়ুন: কোন ৩ নীতি মেনে চিনের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে ভারত? জানালেন জয়শংকর)
আরও পড়ুন: বক্তৃতায় বিস্ফোরক শেখ হাসিনা, ইউনুসের নাম করে মারাত্মক দাবি তাঁর
উল্লেখ্য, ইয়ুনকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরাতে সংসদের ২০০ জনের সমর্থন প্রয়োজন পড়বে। এদিকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং আরও কিছু ছোটখাটো দল মিলিয়ে বিরোধীরা হলেন ১৯২। তবে গতকাল দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক শাসন জারি হতেই সংসদ ভবন ঘিরে ফেলছিলেন। এরই মধ্যে মারশাল ল'বিরোধী প্রস্তাব গৃহীত হয় সংসদে। গতকাল সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ভোট পড়েছিল ১৯০টি। সংসদে সেই সংখ্যক সদস্যই উপস্থিত ছিলেন। এদিকে গতকাল শাসকদল পিপল পাওয়ার পার্টির ১০ জন সংসদ সদস্যও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ভোট দেন। তারপর আজ সকালে ক্যাবিনেট বৈঠক করে দক্ষি কোরিয়ার ওপর থেকে সামরিক শাসন প্রত্যাহার করে নেন ইয়ুন। (আরও পড়ুন: 'ধর্মীয় অপরাধের শাস্তি' পালনের সময় স্বর্ণমন্দিরে সুখবীর সিং বাদলের ওপরে চলল গুলি)
আরও পড়ুন: শিন্ডেকে ৬ মাসের জন্য মুখ্যমন্ত্রী করা হোক, শাহি বৈঠকে নাকি এমনই দাবি উঠেছিল
আরও পড়ুন: তৃণমূলের দেখানো পথে এবার ভেঙেই যাবে ইন্ডিয়া? অখিলেশেব ভাবগতিকে জল্পনা
উল্লেখ্য, যদি ইয়ুন ইমপিচ হয়ে যান, তাহলে দেশের প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব সামলাতে শুরু করবেন। এরই মাঝে সাংবিধানিক আদালত অবশ্য ইয়ুনের ইমপিচমেন্ট বাতিলও করে দিতে পারে। উল্লেখ্য, এর আগে গতকাল সবাইকে অবাক করে দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল ঘোষণা করেন, কমিউনিস্ট শক্তি থেকে দেশকে রক্ষার জন্য মার্শাল ল জারি করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ ছিল, উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের মদতে ক্ষমতা দখলের ছক কষছে বিরোধীরা। প্রেসিডেন্টের ভাষণের পরই দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে দিকে শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। শাসক দলেরও অনেকে সামরিক আইন জারি করার বিষয়টির বিরোধিতা করেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সামরিক আইন বাতিলের পক্ষে ভোট পড়ে। তড়িঘড়ি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হয়েছিল সেখানে। সেই বৈঠকেই সামরিক আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ৬ ঘণ্টার জন্যে দেশে সামরিক আইন জারি ছিল।