দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওলকে ইমপিচ করল সেই দেশের সংসদ। ৩০০ আইনপ্রণেতার মধ্যে ২০৪ জন ইয়ুন সুক ইওলকে ইমপিচ করার পক্ষে ভোট দেন। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৮৫ জন। তিনজন আইনপ্রণেতা ভোটদানে বিরত ছিলেন এবং আটটি ভোট বাতিল হয়ে যায়। উল্লেখ্য, ৩০০ সদস্যের দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ হল বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। প্রসঙ্গত, ইয়ুন সুক ইওলকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইমপিচ করার জন্যে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন ছিল। এই আবহে ইয়ুনের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব স্থগিত করা হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। (আরও পড়ুন: লাদাখের ডেপস্যাঙে কি সব প্যাট্রোলিং পয়েন্টেই টহল দিতে পারবে ভারতীয় সেনা?)
আরও পড়ুন: ভারতের থেকে 'মোস্ট ফেভারড নেশন'-এর তকমা ছিনিয়ে নিল সুইৎজারল্যান্ড! তবে কেন?
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ দখলের ছক কষা হচ্ছে? বিস্ফোরক ওপার বাংলা, ইসকন নিয়ে গুরুতর অভিযোগ
এবার ইয়ুনের অপসারণ বহাল রাখা হবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা করবে সাংবিধানিক আদালত। এই আবহে আগামী ১৮০ দিনের মধ্যে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আশা করা হচ্ছে। আদালত যদি ইয়ুনের বিরুদ্ধে রায় দেয়, তাহলে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইমপিচড হবেন। এরপর ৬০ দিনের মধ্যে ফের দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, ইয়ুনকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরাতে সংসদের ২০০ জনের সমর্থন প্রয়োজন ছিল। তার থেকে ৪টি বেশি ভোট পড়েছে ইয়ুনকে ইমপিচ করার পক্ষে। এদিকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং আরও কিছু ছোটখাটো দল মিলিয়ে বিরোধীদের সংখ্যা ছিল ১৯২। (আরও পড়ুন: OpenAI-এর 'পর্দা ফাঁস' করা ভারতীয় বংশোদ্ভূতের রহস্যমৃত্যু ক্যালিফোর্নিয়ায়)
আরও পড়ুন: কানাডায় খুন ৩ ভারতীয় পড়ুয়া, সতর্কতা জারি দিল্লির, খলিস্তান ইস্যুতে 'নয়া বিতর্ক'
আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিতেও...', ভারতকে কি ভয় পাচ্ছে জামাতে ইসলামি?
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ায় গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক শাসন জারি করেছিলেন সেখানকার রাষ্ট্রপতি ইয়ুন সুক ইওল। ইয়ুন সুক ইওল ঘোষণা করেছিলেন, কমিউনিস্ট শক্তি থেকে দেশকে রক্ষার জন্য মার্শাল ল জারি করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ ছিল, উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের মদতে ক্ষমতা দখলের ছক কষছে বিরোধীরা। প্রেসিডেন্টের ভাষণের পরই দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে দিকে শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। শাসক দলেরও অনেকে সামরিক আইন জারি করার বিষয়টির বিরোধিতা করেন। এই আবহে দক্ষিণ করিয়ার সংসদের ভোটাভুটিতে সেই সামরিক শাসনের অবসান ঘটে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ভোট পড়েছিল ১৯০টি। সংসদে সেই সংখ্যক সদস্যই উপস্থিত ছিলেন। সেই সময় শাসকদল পিপল পাওয়ার পার্টির ১০ জন সংসদ সদস্যও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ভোট দেন। তারপর ৪ ডিসেম্বর সকালে ক্যাবিনেট বৈঠক করে দক্ষি কোরিয়ার ওপর থেকে সামরিক শাসন প্রত্যাহার করে নেন ইয়ুন। সব মিলিয়ে প্রায় ৬ ঘণ্টার জন্যে দেশে সামরিক আইন জারি ছিল।