লাদাখের অশান্তি এবং হিংসার ঘটনায় ‘উস্কানি’ দেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ইঞ্জিনিয়র, গবেষক তথা সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুককে। বর্তমানে জোধপুর সেন্ট্রাল জেলে রয়েছেন তিনি। এবার সেখান থেকেই তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে ‘শান্তির বার্তা’ দিলেন সোনম। ‘গান্ধী-মতে’ অহিংসার মাধ্যমেই প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে আর্জি জানিয়ে তিনি বলেন, শারীরিক, মানসিক ভাবে সুস্থ রয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-মাত্র ৪ মিনিটের জুম কলে গণছাঁটাই! ভারতীয় কর্মীদের উপর কোপ মার্কিন সংস্থার, কারণ অজানা
২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে পুনর্বিন্যাস আইন পাশ হয়। তারপর থেকেই লাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা এবং ষষ্ঠ তফসিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ হয়ে ওঠেন গবেষক তথা পরিবেশবিদ সোনম ওয়াংচুক। গ্রেফতারির পর শনিবার জোধপুরের জেলে গিয়ে সোনমের সঙ্গে দেলখা করেন তাঁর দাদা এবং আইনজীবী মুস্তফা হাজি। তাঁদের মাধ্যমে লাদাখ এবং দেশের জনগণের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন ধৃত সমাজকর্মী। সোনম ওয়াংচুক বলেন, তিনি ভালো আছেন এবং প্রার্থনার জন্য ধন্যবাদ। একই সঙ্গে তিনি লেহ-তে অশান্তির ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন। তাঁর কথায়, 'আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো আছি এবং সকলের প্রার্থনার জন্য ধন্যবাদ। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রয়েছে। আমাদের চারজন নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাধীন বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত, এবং যতদিন তা না হয়, ততদিন আমি জেলে থাকতে প্রস্তুত।'
আরও পড়ুন-মাত্র ৪ মিনিটের জুম কলে গণছাঁটাই! ভারতীয় কর্মীদের উপর কোপ মার্কিন সংস্থার, কারণ অজানা
সোনম ওয়াংচুক বলেন, 'ষষ্ঠ তফসিল এবং রাজ্যের অধিকারের জন্য আমাদের ন্যায্য সাংবিধানিক দাবিতে আমি এপেক্স বডি, কার্গিল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (কেডিএ) এবং লাদাখের জনগণের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছি। লাদাখের স্বার্থে এপেক্স বডি যে কোনও পদক্ষেপই গ্রহণ করুক না কেন, আমি তাদের সঙ্গে আছি। আমি জনগণকে শান্তি ও ঐক্য বজায় রাখার এবং শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করছি-গান্ধীবাদী অহিংসার পথে। সম্প্রতি লাদাখ আন্দোলন শান্তিপূর্ণ অবস্থান ধর্মঘট ও অনশন থেকে হিংসাত্মক বিক্ষোভে রূপ নেয়। প্রাণ হারিয়েছে অন্তত চারজন। এরপরেই প্রশাসন সোনমের বিরুদ্ধে বিদেশি শক্তির পক্ষে কাজ করার অভিযোগ আনে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ছাড়া স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছেও স্বামীর মুক্তির দাবিতে চিঠি দিয়েছেন সোনম ওয়াংচুকের স্ত্রী গীতাঞ্জলি জে আংমো। সম্প্রতি সেই আবেদন নিয়ে দ্বারস্থ হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের।