সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হল একজন চিকিৎসক! মঙ্গলবার তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। বেঙ্গালুরুর একটি বিশেষ এনআইএ আদালতের বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় ওই চিকিৎসকের আরও দুই শাগরেদকেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাদের দু'জনকেই ১০ বছর করে কারাবাসের সাজা শোনানো হয়েছে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে ভারত সফরে এসেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তাঁর সেই সফরের আগে নাশকতা ঘটানোর ছক কষেছিল এই চিকিৎসক। উদ্দেশ্য ছিল, সিরিয়াল ব্লাস্ট ঘটানো। সেই ষড়যন্ত্রে তাকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছিল তার বাকি দুই সহযোগী।
এছাড়াও, এই তিনজনের বিরুদ্ধেই আরও একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। যা শুনানি চলাকালীন আদালতে প্রমাণিত হয়। আদালত তাই তিন অভিযুক্তকেই দোষী সাব্যস্ত করে এবং মঙ্গলবার এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
বেঙ্গালুরুর বিশেষ এনআইএ আদালতের বিচারক গঙ্গাধর সিএম-এর এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়েছিল। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত এবং সাজাপ্রাপ্ত চিকিৎসকের নাম ডা. সইদ ইসমাইল আফাক। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সে একজন পাকিস্তানি তরুণীকে বিয়ে করেছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকায় ডা. আফাকের উপর ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার জরিমানা ধার্য করেছে বিশেষ এনআইএ আদালত।
ডা. আফাকের দুই সহযোগী হল - আবদুল সাবুর এবং সাদ্দাম হুসেন। তাদের দু'জনকেই নিজেদের কৃতকর্মের জন্য ১০ বছর করে হাজতবাস করতে হবে। এছাড়া, তাদের উপরেও আর্থিক জরিমানা ধার্য করেছে আদালত। সেই অনুসারে, দুই সাজাপ্রাপ্তকেই ৯৫ হাজার টাকা করে জমা দিতে হবে।
আদালত সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই তিন দোষী ব্যক্তিই কর্ণাটকের উপকূলীয় অঞ্চলের ভাটকল এলাকার বাসিন্দা। তাদের তিনজনেরই বয়স তিরিশের কোটায়। এবং তাদের তিনজনকেই গ্রেফতার করেছিল সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ (সিসিবি)। সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন এসিপি বি কে থাম্মাইয়া।
তবে, এই ঘটনায় আরও দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁরা হলেন - রিয়াজ আহমেদ এবং জইনউলবুদ্দিন। তাঁরাও ভাটকলের বাসিন্দা। কিন্তু, তাঁদের এই মামলা থেকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে।
এই মামলা প্রসঙ্গে সিসিবি-র যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এম চন্দ্রশেখরকে উদ্ধৃত করে টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এর প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকল অভিযুক্ত ও দোষী ব্যক্তিকেই ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা, ইউএপিএ এবং বিস্ফোরক আইনের অধীনের গ্রেফতার করা হয়েছিল।