রবিবার রাতে পুলওয়ামা জেলায় এক পুলিশ আধিকারিক ও তাঁর পরিবারকে গুলি করে মারল জঙ্গিরা। কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়, রাত ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ পুলওয়ামা জেলার অবন্তিপোরার হারিপারিগামে কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল অফিসার ফয়াজ আহমেদের বাড়িতে ঢোকে জঙ্গিরা। সেখানে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পুলিশ অফিসারের। গুরুতর ভাবে জখম হন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। পরে গতরাতে প্রথমে তাঁর স্ত্রী প্রাণ হারান, আর তারপর তাঁর মেয়েকেও বাঁচানো যায়নি।
পুলিশ জানায়, ফয়াজ আহমেদের বাড়িতে ঢুকে ওই পুলিশ আধিকারিককে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। তাঁর স্ত্রী রাজা বানো এবং মেয়েকেও গুলি করে হত্যা করা হয় সেই সময়। গুলি চালানোর পর ঘটনাস্থলেই ফয়াজ আহমেদের মৃত্যু হয়। তাঁর স্ত্রী রাজা বানো এবং মেয়েকে আশঙ্কানজক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে, হাসপাতালে পৌঁছানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজা বানো মারা যান। অন্যদিকে, তাঁদের মেয়ে আজ সকালে ওই হাসপাতালেই মারা গিয়েছে। তার শরীরে গুলির একাধিক জখম ছিল।
জঙ্গিদের খোঁজে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। এই হামলার কড়া নিন্দা করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ সিনহা। তিনি এটিকে নৃশংস হামলা আখ্যা দিয়েছেন এবং জঙ্গিদের কাপুরুষ বলেছেন। এদিকে ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীর বিজেপির মুখপাত্র আলতাফ ঠাকুরও।
প্রসঙ্গত, টানা চার মাস উপত্যকায় কার্যত কোনও সন্ত্রাসের চিহ্ন ছিল না। কিন্তু, হঠাৎ করেই গত কয়েক সপ্তাহে একের পর এক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। যার সবচেয়ে বড় হামলাটি হয়েছে গতকাল। জম্মু বিমানবন্দরের ভিতরে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দু’টি বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় 2 জওয়ান দখম হন। এই ঘটনার পর উপত্যকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। তবে তারই মধ্যে আরও এখ মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল উপত্যকা।