দেশজুড়ে করোনা যোদ্ধাদের প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানাতে রবিবার বিশেষ ফ্লাইপাস্ট অনুষ্ঠানের আয়োজন করল স্থল, নৌ ও বায়ুসেনা।
করোনা সংক্রমণ রুখতে যাঁরা সামনে থেকে লড়াই চালাচ্ছেন, সেই সমস্ত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশকর্মীদের সম্মান জানাতে এই নিয়ে তৃতীয় বার সম্মান জানানোর উদ্যোগ নিল দেশ। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে হাততালি দিয়ে ও প্রদীপ জ্বালিয়ে করোনা যোদ্ধাদের বীরত্বকে কুর্নিশ জানিয়েছেন দেশবাসী।
গত শুক্রবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে এক বৈঠকে বিশেষ সম্মানজ্ঞাপক অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ, নিরাপত্তা বাহিনীর তিন প্রধান এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
এ দিনের অনুষ্ঠানে রয়েছে বায়ু সেনার বিশেষ ফ্লাই পাস্ট কর্মসূচিতে রয়েছে বাহিনীর বিভিন্ন বায়ুযানের প্রদর্শনী, নৌসেনার যুদ্ধজাহাজে আলোকসজ্জা এবং সেনা বাহিনীর ব্যান্ডের অনুষ্ঠান।
রবিবার ফ্লাইপাস্ট অনুষ্ঠানে দেশের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ জুড়ে উড়ছে বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান থেকে যাত্রীবাহী বিমান ও হেলিকপ্টার। দেশের ২৩টি কোভিড হাসপাতালের উপরে হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টি অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ। তালিকায় রয়েছে দিল্লি, লেহ, শিলং, চণ্ডীগড়, দেরাদুন, মুম্বই, জয়পুর, দিসপুর, ইটানগর, ত্রিবান্দ্রম ও চেন্নাই। বাংলার দুই হাসপাতাল তালিকায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের অনুমতি না পাওয়ায় কর্মসূচি থেকে বাদ পড়েছে।
ফ্লাই পাস্ট অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে শ্রীনগর থেকে তিরুবনন্তপুরম এবং ডিব্রুগড় থেকে কচ্ছ পর্যন্ত উড়ছে বায়ুসেনার ফাইটার জেট। যুদ্ধবিমানের ঝাঁক উড়ে যাওয়ার পথে পেরিয়ে গিয়েছে মুম্বই, জয়পুর, আমদাবাদ, দিল্লি, গুয়াহাটি, পটনা, লখনউয়ের আকাশ।
ফ্লাই পাস্টে অংশগ্রহণ করছে বায়ুসেনার যাত্রীবাহী বিমানও। দিল্লি, শ্রীনগর, চণ্ডীগড়, জয়পুর, মুম্বই ও হায়দরাবাদ-সহ দশটি শহরের আকাশে নির্দিষ্ট ফর্মেশনে উড়বে সেই বিমানের ঝাঁক।
এ দিন অসমে গুয়াহাটির আকাশে বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানের কসরৎ দেখতে বাড়ির ছাদ ও বারান্দায় ভিড় করেন শহরবাসী।
বাণিজ্য রাজধানী মুম্বইয়ের নির্জন সৈকত থেকেও আকাশে বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানের কসরৎ দেখে উচ্ছ্বসিত হন শহরবাসী।
অন্য দিকে, দেশের বিভিন্ন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার এও হাসপাতাল চত্বরে এ দিন বেজে উঠেছে সেনাবাহিনীর ব্যান্ডের বিশেষ সংগীত। করোনা যোদ্ধাদের প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানাতে বিশেষ অনুষ্ঠান করে আর্মি ব্যান্ড।
রাজ্য সরকার অনুমোদন না দিলেও কলকাতার কম্যান্ড হাসপাতালের উপর দিয়ে উড়ে গেল সেনা কপ্টার। এ দিন সকালে ব্যারাকপুরের ঘাঁটি থেকে রওনা দিয়েছিল কপ্টারটি।