রবিবার রাতে দুই প্রাক্তন সুহৃদ মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির (আরএলএসপি) সভাপতি তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহার বৈঠক ঘিরে জল্পনা ছড়াল। এই নিয়ে গত দুই মাসে দ্বিতীয় বার আলোচনায় বসলেন বিহার রাজনীতির দুই হেভিওয়েট নেতা, যার জেরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের সম্ভাবনা দেখছেন রাজ্য রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা।
গত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ফের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণের পরে ২ ডিসেম্বর কুশওয়াহার সঙ্গে শেষ বার বৈঠকে বসেছিলেন নীতীশ। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত জনতা দলের প্রাক্তমন রাজ্য সভাপতি ও রাজ্য সভার সাংসদ বশিষ্ঠ নারায়ণ সিংও। বিহার মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের প্রেক্ষিতে সেই বৈঠকের গুরুত্ব অসীম ছিল।
বিধানসভা নির্বাচনে জেডি(ইউ) এর ভরাডুবির পরে রাজ্যে প্রভাব বাড়াতে সচেষ্ট হয়েছে নীতীশের দল। নির্বাচনে জোটশরিক বিজেপি ৭৪টি আসনে জিতলেও জেডি(ইউ) এর ঝুলিতে আসে মাত্র ৪৩টি আসন। একমাত্র নির্দল বিধায়কও শেষ পর্যন্ত জেডি(ইউ)কেই সমর্থন জানান।
সম্প্রতি নীতীশের সঙ্গে কথা হয়েছে ৫ এআইএমআইএম বিধায়ক ও একমাত্র এলজেপি বিধায়কের। তখন থেকেই শুরু হয় নয়া জোট সমীকরণ নিয়ে জল্পনা।
রবিবার বৈঠকের পরে কুশওয়াহা নীতীশকে ‘বড়ভাই’ হিসেবে সম্বোধন করেন। জেডি(ইউ) এর সঙ্গে তাঁর দলের মিলন সম্পর্কে কোনও মন্তব্য না করলেও তিনি জানান, ‘আমরা কখনই নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখিনি। আমার সঙ্গে বড়ভাইয়ের ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, একদা পরস্পরকে শত্রু মনে করলেও মাম্প্রতিক কালে ববিবিধ বিষয়ে নীতীশকে সমর্থন করতে দেখাগিয়েছে কুশওয়াহাকে। এমনকি, কিছুদিন আগে বিধানসভায় নীতীশের ভাষণে বাধাসৃষ্টি করা আরজেডি নেতা তেজস্বী প্রসাদ যাদবকে ‘অভদ্র’ বলতেও দ্বিধা করেননি কুশওয়াহা।
অতীতে বিধানসভা ও রাজ্য সভায় জেডি(ইউ) এর টিকিটেই নির্বাচনে জিতে ঠাঁই হয়েছে কুশওয়াহার। ২০১৯ সালের লোক সভা নির্বাচনে বিজেপি দু’টির বেশি আসন না দেওয়ায় ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে তাঁর দল এনডিএ জোট ত্যাগ করে। যদিও এর পরেও নীতীশকুমারের জেডি(ইউ) কে সমর্থন জানায় আরএলএসপি।