শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তেই মুক্তি পেলেন খালেদা জিয়া। তিনি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। এবার ভিডিয়ো লিঙ্কের মাধ্য়মে রাজধানীর নয়া পল্টন এলাকায় বক্তব্য রাখলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
প্রায় সাড়ে ৬ বছর পরে প্রকাশ্য় সভায় বক্তব্য রাখলেন খালেদা জিয়া। ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন। দুর্নীতির মামলায় বন্দি ছিলেন তিনি। এবার হাসিনা যেতেই মুক্তি পেলেন খালেদা জিয়া।
এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল খালেদা জিয়ার। ৭৯ বছর বয়সি খালেদাকে ক্ষমার আবেদন মঞ্জুর করেছেন রাষ্ট্রপতি। প্রায় সাড়ে ৬ বছর পরে বক্তব্য রাখলেন খালেদা জিয়া। তিনি কী বলেন সেটাই এবার দেখার।
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়া। অন্তর্বর্তী সরকার তৈরির প্রস্তুতি চলছে বাংলাদেশে। ৫ অগস্ট, ২০২৪ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনা ইস্তফা দিয়েছিলেন। এরপর তিনি দেশ ছাড়েন। সেই ঘটনার কথা জানান বাংলাদেশের সেনা বাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জমান।
তিনি বাংলাদেশের নৌ ও বায়ুসেনার প্রধানদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিলেন। বৈঠকে ছিলেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের নেতারাও। বৈঠকে বিএনপি ও জামাতও অংশ নেয়। সেই বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। সাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সেই বৈঠকে স্থির হয়, বিএনপির জাতীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে তৎক্ষণাৎ মুক্তি দেওয়া হবে। তাঁকে হাউজ অ্যারেস্ট করে রাখা হয়েছিল বলে খবর।
হাসিনা সরকারের আমলে বেগম খালেদা জিয়াকে ১৭ বছরের কারাবাসের সাজা শোনানো হয়েছিল। ২০১৮ সালে এক ঘুষ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তিনি হাসপাতালের চার দেওয়ালের মধ্যে থাকতেন। তাঁকেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এদিকে খালেদা জিয়ার পুত্র বিদেশ থেকে ফিরছেন বলে খবর। তিনি বিএনপির সভায় অংশ নিতে পারেন।
একে একে বিএনপির নেতৃত্বরা ক্ষমতার রাশ ধরতে শুরু করেছেন বাংলাদেশে। এদিকে দীর্ঘদিন পরে বাংলাদেশের মানুষের কাছে বার্তা দেবেন খালেদা। তাঁর এই বক্তব্য শোনার জন্য অপেক্ষা করছিল বাংলাদেশ। সকাল থেকেই এই সভাকে সফল করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্র যুবরা আসছেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফৎরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান অতিথি হিসাবে থাকছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি লন্ডন থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ছিলেন। সেখানে বক্তব্য রাখলেন খালেদা।