লন্ডনে শিল্পসভায় বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানে বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বিজনেস মিটে সকলকে স্বাগত ও ধন্য়বাদ জানান মমতা। তিনি বলেন, ‘আই লাভ ইউকে। কারণ আমাদের একটা আবেগের সম্পর্ক রয়েছে। একটা ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে, হেরিটেজ সম্পর্ক রয়েছে। ১৯০ বছর আপনারা ভারতকে শাসন করেছিলেন। স্বাধীনতার আগে যখন ভারতকে শাসন করতেন কলকাতা ছিল ভারতের রাজধানী। সেকারণে আপনারা অনেক হেরিটেজ বিল্ডিং তৈরি করেছিলেন। আমরা রোজ সেটা মনে করি …আমাদের পড়ুয়ারা পড়াশোনা করতে আসেন লন্ডনে। তারা আসতে ভালোবাসেন। বাংলা ক্রিকেট ফুটবল ভালোবাসে। আমাদের ব্র্য়ান্ড অ্যাম্বাসডর হলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়। অক্সফোর্ডের প্রোগ্রামে সৌরভ আসবে। বাংলার মানুষ ক্রিকেট ফুটবল ভালোবাসেন।’
মমতা বলেন, ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। মূলত সত্যম রায়চৌধুররী কথা উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, 'শিল্পপতিরা এসেছেন এখানে। তাঁরা যা বলেছেন তাঁদের কথা মন ছুঁয়ে গিয়েছে। আমরা তাদের ওয়ার্কারের মতো কাজ করি। তারা আমাদের খুব সহায়তা করেন। আমার ইউকে বন্ধুদের ধন্য়বাদ জানাচ্ছি। আর্টিফিসিয়াল হাব. সোলার এনার্জি, শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়, এআই, ক্ষুদ্র শিল্প নিয়ে কথা হয়েছে। তাদের আগ্রহ রয়েছে। আমার বিনম্র আবেদন, ইউকে এয়ারলাইন্স ফ্রেন্ডদের বলছি একটা কি সরাসরি ফ্লাইট দিতে পারেন? প্রত্যেকটা ফ্লাইট বুকড। কোনও সিট ফাঁকা থাকে না।আমরা জ্বালানিতে ভর্তুকি দিচ্ছি। এখন ১৮ ঘণ্টা লাগছে। যদি সরাসরি ফ্লাইট থাকে তবে ৮ ঘণ্টা সময় লাগবে। '
তিনি বলেন, 'এটা আমার আবেদন যে সরাসরি ফ্লাইট চালু করুন। সকলেই বলছে দয়া করে এটা বলুন। আমরা ভালো রিসেপশন দেব। আমাদের সরাসরি ফ্লাইট থাকলে খুব সুবিধা হবে।'
মমতা বলেন, 'আমরা ৬টা করিডর বানাচ্ছি শিল্পের। বীরভূমের দেউচা পাঁচামি হচ্ছে। এটা আরও বিনিয়োগে উৎসাহ দেবে। সেইল গ্যাস , ওএনজিসির কথা উল্লেখ করেন মমতা। জঙ্গলমহল কর্মসুন্দরী প্রকল্প। ২৮০০ আইটি কোম্পানি এসেছে। আগের সরকারের জন্য় আমরা আমাদের সৌন্দর্য্য হারিয়েছি। তবে এখন এগোচ্ছে। এমএসএমইতে আমরা সবার আগে। '
মমতা বলেন, 'বাংলায় বিনিয়োগের অনেক সুবিধা আছে। …এটা আসল গেটওয়ে। আমরা সিনার্জি শুরু করেছি। মহিলা উদ্যোগপতিতেও আমরা এগিয়ে। আমার দলের ৩৯ শতাংশ নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছে পার্লামেন্টে। মহিলারা এগিয়ে আসছেন। বাংলা ক্রমশ এগোচ্ছে। আমরা রয়াল বেঙ্গল টাইগারের মতো লড়ছি। আমাদের সময় ইংরেজি দ্বিতীয় ভাষা ছিল। তবে এখন অনেক স্কুলে ইংরেজি প্রথম ভাষা হয়েছে। তিনি ধন্য়বাদ জানান সকলকে। আমাদের রাজ্যে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আমি ছবি আঁকা শিখিনি। কিন্তু এখন আঁকতে পারি। বাংলায় আসুন। আমার আর আপনাদের মধ্য়ে কোনও দেওয়াল নেই। …আবার আমরা আসব। বাংলায় বিনিয়োগ করুন।আপনারা ভারত শাসন করেছেন। আপনাদের আর্কিটেকটার দারুন।তিনবার ধন্যবাদ জানান। বাংলাকে ভুলবেন না। জয়হিন্দ, জয় বাংলা। '