বড় হারের পর অবশেষে বোধোদয়! দিল্লি নির্বাচনের সময় বিজেপি নেতাদের উস্কানিমূলক মন্তব্যে দলের ক্ষতি হয়েছে বলে অবশেযে মেনে নিলেন বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি ও বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গোলি মারো, ইন্দো-পাক ম্যাচ, এরকম কথা বলা উচিত হয়নি, বলে মেনে নিয়েছেন তিনি। এতে হিতে বিপরীত হয়েছে, কার্যত স্বীকার করে নিলেন অমিত শাহ। একই সঙ্গে অমিত শাহর দার্শনিক বক্তব্য, হার বা জিতের জন্য নয়, দলের আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যেই ভোটে লড়ে বিজেপি।
এদিন টাইমস নাও চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেন গোলি মারো, ইন্দো-পাক ইত্যাদি মন্তব্য অনভিপ্রেত ছিল। দল এই সব মন্তব্যকে সমর্থন করে না। এই সব উক্তি ভোটাররা ভালো ভাবে মেনে নেন নি, বলেই জানান শাহ। তবে এই হার সিএএ বা এনআরসি-র ওপর গণভোট নয় বলে জানিয়েছেন অমিত শাহ।
সিএএ নিয়ে লোকজনের ভ্রান্তি শুধরোতে সরাসরি তার অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন অমিত শাহ। প্রসঙ্গত ভোট প্রচারে অনুরাগ ঠাকুর স্লোগান দিয়েছিলেন যে বিশ্বাসঘাতকদের গুলি মারা উচিত। অন্যদিকে আরেক নেতা কপিল মিশ্র বলেছিলেন ভোটের দিন, অর্থাত্ আট তারিখ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। সাংসদ পরবেশ ভার্মা বলেছিলেন যে কেজরিওয়াল সন্ত্রাসবাদী। এই তিনজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন।
৭০ আসন বিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভায় মাত্র আটটি আসন জেতে বিজেপি, গতবারের থেকে পাঁচটি বেশি। ভোটারদের শাহিনবাগে কারেন্ট দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন অমিত শাহ। শাহিন বাগ যে বিধানসভার অন্তর্গত, সেই ওখলায় রেকর্ড ভোটে হারে বিজেপি।