আগামী বছর শুধুমাত্র হজযাত্রীদের জন্য ১০০টি বিশেষ উড়ান পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা পাকা করে ফেলল বিমান পরিবহণ সংস্থা স্পাইসজেট।
সংস্থার পক্ষ থেকে এই বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালে ওই বিশেষ পরিষেবা প্রদানের জন্য বৈধ অনুমতি তারা পেয়ে গিয়েছে। আগামী বছর ভারতের চার শহর - যথাক্রমে - কলকাতা, গুয়াহাটি, শ্রীনগর এবং গয়া থেকে এই ১০০টি বিশেষ বিমান শুধুমাত্র হজযাত্রীদের জন্য চালানো হবে।
প্রসঙ্গত, এবছর - ২০২৪ সালে মোট ১৩,০০০ হজযাত্রীকে বিশেষ পরিষেবা দিয়েছে এই ভারতীয় বিমান পরিবহণ সংস্থা। আগামী বছর তা আরও ১৮ শতাংশ বাড়বে। অর্থাৎ, ২০২৫ সালে ১৫,৫০০ জন হজযাত্রী স্পাইসজেটের বিমানে চেপে তীর্থ করতে যেতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে হজযাত্রীদের জন্য বিশেষ বিমান পরিষেবা দিচ্ছে স্পাইসজেট। গত মরশুমে শুধুমাত্র হজযাত্রীদের জন্যই দু'টি ঢাউস আকার ও বিরাট আয়তনের এয়ারবাস এ৩৪০ বিমান কাজে লাগিয়েছিল স্পাইসজেট কর্তৃপক্ষ। তার এক-একটিতে একসঙ্গে সর্বাধিক ৩২৪ জন যাত্রীর বসার ব্যবস্থা ছিল।
২০২৫ সালে তাদের পরিষেবা আরও উন্নত করার লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে স্পাইসজেট। তাদের দাবি, তীর্থযাত্রীদের যাতায়াত আরও সুরক্ষিত ও আরামদায়ক করতে প্রয়োজনী নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে।
এদিকে, কিছুদিন আগেই ঘরোয়া উড়ানের ক্ষেত্রেও তাদের পরিষেবা প্রদানের পরিসর বাড়িয়েছে স্পাইসজেট কর্তৃপক্ষ। গত ১৫ নভেম্বর শুধুমাত্র ঘরোয়া উড়ানে ব্যবহারের জন্য আটটি নতুন বিমান যুক্ত করেছে তারা।
একইসঙ্গে, দেশের নানা প্রান্তে নতুন-নতুন রুটও চালু করা হয়েছে। স্পাইসজেট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের এই নতুন রুটগুলি জয়পুর থেকে বারাণসী, অমৃতসর এবং আহমেদাবাদ শহরকে একসঙ্গে জুড়বে। পাশাপাশি, আহমেদাবাদ শহরের সঙ্গে সরাসরি পুণে শহরের জন্যও উড়ান পরিষেবা চালু হয়েছে।
গত অক্টোবর মাসেই তাদের ঘরোয়া পরিষেবা সম্প্রসারিত করার জন্য ৩২টি নতুন বিমান সংস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করে স্পাইসজেট কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে, দিল্লি-ফুকেট নতুন আন্তর্জাতিক রুটও চালু করে তারা।
গত অক্টোবর মাসেই স্পাইসজেট কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প উড়ান-এর আওতায় কর্ণাটকের শিবামোগ্গা থেকে চেন্নাই ও হায়দ্রাবাদ রুটে উড়ান শুরু করে। একইসঙ্গে, চেন্নাই ও কোচির মধ্যে দিনে দু'টি করে উড়ানও শুরু করা হয়। যাতে ভারতের মেট্রোপলিটন শহরগুলির মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ আরও দ্রুত এবং উন্নত করা যায়।
প্রসঙ্গত, হজ হল একটি বার্ষিক ধর্মীয় অনুষ্ঠান। যা মুসলমান বা ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা পালন করেন। তাঁরা তাঁদের জীবদ্দশায় অন্তত একবার হজযাত্রা করতে চান। এর জন্য পুণ্যার্থীরা সৌদি আরবের মক্কা শহরে যান। যে শহরকে মুসলিমরা পবিত্রতম শহর বলে বিশ্বাস করেন।