পরপর বিপত্তিতে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিল স্পাইসজেটের একাধিক বিমান। এই আবহে স্পাইসজেটকে নোটিশ পাঠিয়েছিল ডিজিসিএ। তিন সপ্তাহের মধ্যে সেই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছিল স্পাইসজেটকে। সেই জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে কড়া পদক্ষেপ করে ডিজিসিএ। নির্দেশে বলা হয়, আগামী আট সপ্তাহের জন্য স্পাইসজেটের সূচি অনুযায়ী ৫০ শতাংশ বিমান চলাচল বন্ধ করল ডিজিসিএ। অর্থাৎ, আগের থেকে অনুমোদন থাকলেও এখন ৫০ শতাংশ কম উড়ান পরিচলনা করতে পারবে সংস্থা। তবে এই নির্দেশিকা প্রকাশ্যে আসতেই স্পাইসজেট নিজেদের যাত্রীদের আশ্বস্ত করে যে কোনও উড়ান বাতিল হচ্ছে না।
এর বিবৃতিতে স্পাইসজেটের তরফে বলা হয়, ‘আমরা ডিজিসিএ আদেশের কপি পেয়েছি এবং নিয়ন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করব। বর্তমান ভ্রমণের মরশুম ততটা ভালো নয়। এই কারণে অন্যান্য এয়ারলাইন্সের মতো স্পাইসজেটও ইতিমধ্যেই তাদের ফ্লাইট পরিচালনার সূচি পুনঃনির্ধারণ করেছে। সুতরাং, আমাদের ফ্লাইট পরিচালনায় একেবারেই কোনও প্রভাব পড়বে না। আমরা আমাদের যাত্রী এবং অংশীদারদের আশ্বস্ত করতে চাই যে আমাদের ফ্লাইটগুলি আগামী দিনে সময়সূচী অনুযায়ী চলবে। এই আদেশের ফলে কোনও ফ্লাইট বাতিল হবে না।’
এর আগে ৫ জুলাই একই দিনে স্পাইসজেটের তিনটি বিমান বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছিল। এরপর ৬ জুলাই সংস্থাকে নোটিশ পাঠিয়েছিল ডিজিসিএ। তিন সপ্তাহের মধ্যে সেই নোটিশের জবাব দিলে বলা হয়েছিল। নোটিশে ডিজিসিএ-র তরফে বলা হয়েছিল, ‘নিরাপদ, দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য বিমান পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে স্পাইসজেট’। এই আবহে ঘটনাগুলির ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় সংস্থাকে। প্রসঙ্গত, এই নোটিশ পাঠানোর আগের ১৭ দিনে আটবার বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছিল স্পাইসজেটের বিমান। দুবাইগামী একটি স্পাইসজেটের বিমান করাচিতে অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছিল একটি বিমান। তাছাড়া ইঞ্জিনে গোলযোগ, উইন্ডশিল্ডে পাটলের মতো ঘটনা ঘটেছিল।