পটনাগামী স্পাইস জেটের কর্মী, আধিকারিকদের সঙ্গে যাত্রীদের তুমুল বচসা। দিল্লি এয়ারপোর্টে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক দেরি করে ফ্লাইটটি। তার জেরেই উভয় পক্ষের মধ্য়ে বচসা একেবারে চরমে ওঠে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন কিছু সমস্যার জন্য ফ্লাইটটিতে দেরি হয়ে গিয়েছে।
স্পাইস জেটের মুখপাত্র জানিয়েছেন, অপারেশনাল ইস্যুর জেরে ফ্লাইটটি ছাড়তে দেরি হয়ে গিয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই সেটি পটনায় নেমে পড়েছে। এদিকে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে দিল্লি থেকে ফ্লাইটটি ছাড়ার কথা ছিল। সেটি দেরি করে শেষ পর্যন্ত সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ছাড়ে।
এক যাত্রীকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, প্রথম দিকে এয়ারলাইন্সের স্টাফরা বলছিলেন আবহাওয়ার কারণে ফ্লাইটটি ছাড়তে দেরি হচ্ছে। পরে তারাই আবার জানিয়ে দেন টেকনিক্যাল কারণে ফ্লাইটটিতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। তার জেরেই যাত্রী ও এয়ারলাইন্সের স্টাফেদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া বেঁধে যায়।
এদিকে এর আগের দিনই আমেদাবাদগামী স্পাইস জেটের একটি বিমান প্রায় ৫ ঘন্টা ঝুলিয়ে রাখার পরে সেটি শেষ পর্যন্ত বাতিল করা হয়। সেদিনও চরম ক্ষুব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন যাত্রীরাও। সেদিনও যাত্রীরা দেরির কারণ নিয়ে প্রথম দিকে কিছু বলতে চাননি। তারা দেরির কারণ নিয়ে তাদের তরফে প্রথমে কোনও বিবৃতিও জারি করেনি।
এক যাত্রী টুইট করে জানিয়েছিলেন, পুনে থেকে আমেদাবাদ যাওয়ার কথা ছিল স্পাইস জেটের বিমানটির। দুপুর ২টো ৩০ মিনিটে সেটি ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি তখনও ছাড়েনি। এরপর জানা যায় এসির কিছু সমস্যার জন্য ফ্লাইট ছাড়তে দেরি হচ্ছে। তখন প্রায় বিকাল ৪টে ২২ মিনিট হয়ে গিয়েছে। পরে সেই বিমানটি বাতিল করা হয়। তিনি জানিয়েছিলেন, টানা ৮ ঘণ্টা পুনে বিমানবন্দরে সময় কাটালাম। এরপর বাড়ি ফিরে আসি। বিমানটিই বাতিল করা হয়েছিল।
এদিকে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক এর আগে জানিয়েছিল, গত বছর বিভিন্ন এয়ারলাইন্স মিলিয়ে ৫৪৬টি ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সমস্যা ধরা পড়েছিল। তার মধ্যে ২১৫টি ক্ষেত্রে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স সবথেকে শীর্ষে ছিল। সেই নিরিখে স্পাইস জেটের সমস্য়া ছিল ১৪৩টি। অন্যদিকে ভিস্তেরাতে ৯৭টি এই ধরনের সমস্যা ধরা পড়েছিল।
তবে পরপর দুুদিন স্পাইস জেটের বিমানে এই ত্রুটির জেরে বিমানযাত্রীদের মধ্যে তুমুল ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। একদিন বিমানটিকেই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। অপরদিন বিমান বাতিল না হলেও ঘণ্টা দুয়েক দেরি হয়ে গিয়েছে বিমানটি।