মথুরার জেলা আদালত বৃহস্পতিবার এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে শ্রী কৃষ্ণ বিরাজমানের আবেদন গ্রহণ করেছে। রিভিশন হিসেবে দাখিল করা এই আবেদনের ওপর গত দেড় বছর ধরে শুনানি চলছিল। আজ জেলা আদালতের জজ তা গ্রহণ করেন। মথুরা আদালতের রায়ে লেখা, শাহি ইদগাহ মসজিদটি কৃষ্ণ জন্মভূমি জমির উপর নির্মিত হয়েছিল বলে তা অপসারণের দাবি জানিয়ে যে মামলা করা হয়েছে তা গ্রহণযোগ্য। এর আগে এই আবেদন খারিজ করা হযেছিল মথুরার আদালতে। তবে রিভিশন আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটিকে গ্রহণ করা হল। এখন সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশনের আদালতে মামলার শুনানি শুরু হবে। আগামী ১ জুলাই এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।
ভগবান কৃষ্ণের বন্ধু হিসাবে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে অ্যাডভোকেট রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী এই আবেদনটি দায়ের করেছিলেন। সিভিল কোর্ট এটি মামলাটি তখন খারিজ করে দিয়েছিল। এরপর জেলা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করা হলে প্রায় দেড় বছর ধরে শুনানি চলে এর। অ্যাডভোকেট রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী, হরি শঙ্কর জৈন, বিষ্ণু জৈন সহ ছয়জনের পক্ষে এই আবেদন করা হয়েছিল। মামলায় সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড, ট্রাস্ট মসজিদ ইদগাহ, শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি ট্রাস্ট এবং শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি সেবা সংস্থাকে পক্ষ করা হয়। প্রায় দেড় বছর ধরে চলে মামলার বিচার। যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আবেদনটি গ্রহণ করে জেলা আদালত।
মামলাকারীর কৌঁসুলি গোপাল খান্ডেলওয়াল মিডিয়াকে বলেছেন যে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে দেওয়ানি আদালত মামলাটি প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল যে এটি 'অধিকারের সমস্যা' নয়। অর্থাৎ এ বিষয়ে মামলা করার অধিকার কারোর নেই। বিষয়টি জেলা জজ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আজ জেলা জজ আদালত বাদীর রিভিশন আবেদন গ্রহণ করে পরবর্তী শুনানির জন্য ১ জুলাই দিন ধার্য করেছেন।
আবেদনে মসজিদকে ২.৩৭ একর জমি ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। বলা হয়, শ্রী কৃষ্ণের মোট ১৩.৩৭ একর জমির মধ্যে ১১ একর জমিতে শ্রী কৃষ্ণ জন্মস্থান প্রতিষ্ঠিত। শাহি ইদগাহ মসজিদটি ২.৩৭ একর জমির উপর নির্মিত। এই ২.৩৭ একর জমি দখলমুক্ত করে শ্রী কৃষ্ণের জন্মস্থানের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে আবেদনে। মামলাকারীরা বলছেন, এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের কোনও আপস করার অধিকার নেই। জমিটি ঠাকুর বিরাজমান কেশব কাটরা মন্দিরের নামে।