ভয়াবহ সংকটের মধ্যে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। বিক্ষোভে উত্তাল গোটা দেশ। শোনা যাচ্ছে প্রেসিডেন্টও তাঁর বাসভবন ছেড়ে পালিয়েছেন। এসবের মধ্যেই শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে শনিবার ইস্তফা দিলেন। আগেই রাজনৈতিক নেতাদের জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি ইস্তফা দিতে চাইছেন। নতুন সরকার তৈরি করা হোক।
প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র ডিনোউক কোলাম্বাগে জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী দলীয় নেতৃত্বদের জানিয়ে দিয়েছেন তিনি ইস্তফা দেবেন যখন সমস্ত দল নতুন সরকার তৈরি করতে রাজি হবে। তবে পরে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন।
সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে তাঁদের চেয়ার ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে মিটিংয়ে অনুরোধ করা হয়েছিল। মূলত দেশে যে ভয়াবহ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে তারই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ক্ষমতা ছাড়ার ব্যাপারে অনুরোধ করা হয়। এদিকে এসবের মধ্যে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে যেভাবে জনতার ঢেউ আছড়ে পড়ে তাতে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সরকারের হাত থেকে ক্ষমতার রাশ যে ক্রমশ আলগা হয়ে যাচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।
তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সংসদের স্পিকারের মিটিংয়ে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিশ্বস্ত নেতৃত্বদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা সেরে নেন। এরপরই তিনি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
অন্য়দিকে প্রেসিডেন্ট তাঁর বাসভবন ছেড়ে কোথায় গিয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। শুক্রবারই তিনি বাসভবন ছেড়ে দিয়েছেন বলে খবর। আর শনিবার সেই বাসভবনে আছড়ে পড়ল জনতার ঢেউ। এমনকী রাষ্ট্রপতির বাসভবনের সুইমিং পুলেও নেমে পড়ে জনতা।