রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা জারি রেখেছে শ্রীলঙ্কা। তবে এখনও সে দেশের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে মনে হয় না। এরই মাঝে রবিবার শ্রীলঙ্কা সরকার পেট্রল এবং ডিজেলের দাম শ্রীলঙ্কার মুদ্রায় ২০ টাকা করে কমানোর ঘোষণা করেছে। ফেব্রুয়ারির পর প্রথমবারের মতো জ্বালানির দাম কমানো হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। এছাড়াও, সরকার চালকদের জ্বালানী পাস দিচ্ছে যাতে প্রত্যেককে সঠিক পরিমাণে জ্বালানী সরবরাহ করা যায়।
আর্থিক সংকটের মুখে থাকা শ্রীলঙ্কায় পেট্রল ও ডিজেলের জন্য পাম্পে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে এখনও। তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে যাও বা পেট্রল পাওয়া যাচ্ছে, এলপিজি সিলিন্ডারের জন্য এখনও হাহাকার চলছে সেদেশে। মে মাসের শেষ থেকে পাঁচ দফায় পেট্রল এবং ডিজেলের দাম শ্রীলঙ্কার মুদ্রায় ৬০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধি সেদেশের জনগণকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। এখন প্রতিবাদের মুখে সরকার জনগণকে স্বস্তি দিতে তৎপরতা শুরু করেছে।
শ্রীলঙ্কা সরকার পরিচালিত সিলন পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (সিপিসি) জানিয়েছে, নতুন দর গতকাল গভীর রাতে কার্যকর হয়েছে। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের স্থানীয় কোম্পানি লঙ্কা ইন্ডিয়ান অয়েলও এই নয়া দর বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছে। জ্বালানি মন্ত্রী কাঞ্চনা উইজেসেকারা বলেছেন, জাতীয় জ্বালানী পাস প্রতিটি চালকের জন্য একটি সাপ্তাহিক কোটার গ্যারান্টি দেবে। প্রতি সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট কোটায় পেট্রল বা ডিজেল বরাদ্দ করা হবে। এ জন্য চালকদের পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।
এদিকে শ্রীলঙ্কা সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর শ্রীলঙ্কার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন সব দলকে। পাশাপাশি বিরোধী দলগুলোকেও এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে অবহিত করা হবে। সংসদের বাদল অধিবেশনকে সামনে রেখে রবিবার অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় বৈঠকের পর সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এ তথ্য জানান।