আরও আলোচনার দরকার রয়েছে, সেই জন্যই চিনের জাহাজকে নোঙর করতে অনুমতি দেওয়া হয়নি। একথা জানিয়ে ফের একূার চিনা জাহাজ ইস্যুতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করল শ্রীলঙ্কা। এর আগে চিনের জাহাজ ইউন ওয়াংকে হামবানতোতা বন্দরে নোঙর করতে নিষেধ করে শ্রীলঙ্কা।
তারপরই কার্যত প্রেশার গেমের খেলা শুরু করে চিন। এক বক্তব্যে চিন জানায় এই ঘটনা একেবারেই 'অন্যায্য কয়েকটি দেশের জন্য'। যে বার্তায় প্রচ্ছন্ন নিরাপত্তাজনিত হুমকি লুকিয়ে ছিল শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে। এরপরই শ্রীলঙ্কা জানায়, কিছু বিষয়ে আলোচনার জন্য তৎক্ষণাৎ অনুমতি দেওয়া হয়নি জাহাজকে। তবে চিনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খুব ভাল রয়েছে বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
যে জাহাজকে ঘিরে কূটনৈতিক চাপানোতর, তা মূলত ইয়াংওয়াং সিরিজের তৃতীয় জেনারেশনের জাহাজ। এটি চিনের সেনা পিএলএ ব্যবহার করে থাকে কিছু স্যাটেলাইট ট্র্যাক করার ক্ষেত্রে। এতে রয়েছে ব্যালাস্টিক মিসাইল। এই জাহাজে রয়েছে এমন কিছু শক্তিশালী ব়্যাডার যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে নজরদারিতে সাহায্য করেছে চিনকে। উল্লেখ্য, জাহাজকে নোঙর করতে না দেওয়ার কথা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে কলম্বো। তবে তার সঙ্গেই ঋণদায়গ্রস্ত শ্রীলঙ্কার বিদেশ মন্ত্রক বলেছে,'
শ্রীলঙ্কা ও চীনের মধ্যে স্থায়ী বন্ধুত্ব এবং চমৎকার সম্পর্ক যা দৃঢ় ভিত্তির ওপর রয়ে গিয়েছে। যা কম্বোডিয়ায় দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকে আলোচিত হয়েছে সদ্য ২০২২ সালের ৪ অগাস্ট।' বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শ্রীলঙ্কার ওই জাহাজকে নোঙর করে উপকূলবর্তী এলাকায় ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র থেকে কোনও তথ্য হাতানোর চেষ্টায় রয়েছে চিন।