আগামী সেপ্টেম্বর মাসে শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন রয়েছে। তার আগেই অস্বস্তিতে পড়লেন দেশটির রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে। অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত শ্রীলঙ্কায় স্থানীয় নির্বাচন বিলম্ব করার অভিযোগ উঠেছিল রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে। তা নিয়ে মামলা গড়িয়েছিল শ্রীলঙ্কার সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলাতেই বেআইনিভাবে নির্বাচন বিলম্ব করায় রাষ্ট্রপতিকে দোষী সাব্যস্ত করল দেশটির শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিলম্বের কারণ হিসাবে অর্থনৈতিক সংকটের কথা জানিয়েছিলেন বিক্রমাসিংহে। রাষ্ট্রপতিকে দোষী সাব্যস্ত করার পাশাপাশি শীর্ষ দ্রুত স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরে পালিয়ে গিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, ইমেল করে পাঠালেন পদত্যাগপত্র
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জয়ন্ত জয়সুরিয়ার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় দেয়। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মার্চের স্থানীয় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল শ্রীলঙ্কায়। কিন্তু, সেই নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। যার কারণ হিসেবে অর্থনৈতিক সংকটের কথা উল্লেখ করেছিলেন বিক্রমাসিংহে। এই রায়ের পরে নিজের সপক্ষে বিক্রমাসিংহে দাবি করেছেন, অর্থনীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা এবং জীবনের অধিকার নিশ্চিত করাই তাঁর প্রথম দায়িত্ব। তিনি আশ্বাস দেন যে তিনি নির্বাচনে জনগণের জীবন এবং তাদের ভোটের অধিকার উভয়ই রক্ষা করবেন। একইসঙ্গে, নির্বাচন স্থগিত করার পক্ষে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, এই দেরি করার জন্য তিনি দুঃখিত নন। কারণ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা এবং জীবনের অধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন ছিল।
প্রসঙ্গত, আগের রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাক্ষের পদত্যাগের পরে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন বিক্রমাসিংহে। সেই সময় দেশটিতে গুরুতর অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল। এরপর ২০২৩ সালের মার্চে স্থানীয় নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করে দেন রাষ্ট্রপতি।
সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, যে বিক্রমাসিংহে স্থানীয় নির্বাচনের জন্য তহবিল বরাদ্দ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আগে আদালত এই নির্বাচন বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে বিক্রমাসিংহের প্রশাসন যুক্তি দিয়েছিল, যে সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনের জন্য তহবিলগুলি প্রয়োজনীয় ছিল। আদালত বিক্রমাসিংহের ‘স্বেচ্ছাচারি’ এবং ‘বেআইনি আচরণ’ এর সমালোচনা করেছে। এই আচরণ সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট।