কলম্বোর নুগেগোডায় জুবিলি পোস্টের কাছে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাক্ষের অফিসের সামনে বৃহস্পতিবার তুমুল বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে। বিক্ষোভ চলাকালীন সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই গোটা ঘটনার জন্য রাজাপক্ষ অজ্ঞাত 'চরমপন্থী' গোষ্ঠীকে দায়ী করেন। শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির দফতরের তরফে একটি বিবৃতিতে এই বিষয়ে বলা হয়, ‘লোহার ডান্ডা, কাস্তেসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে অনেক মানুষ মিরিহানা পাঙ্গিরিওয়াত্তায় শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির বাসভবনের দিকে মিছিল করে। বিক্ষোভকারীদের উসকানি দিতে এবং শহরে দাঙ্গার মতো পরিস্থিতি তৈরি করা হয়।’
বিবৃতিতে আরও প্রকাশ করা হয়েছে যে পুলিশ বিক্ষোভে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে এবং তাদের অনেককে সংগঠিত চরমপন্থী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিবৃতিতে আরও যোগ করা হয়েছে যে তারা শ্রীলঙ্কায় আরব বসন্তের আহ্বান জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছিল। দাবি করা হয়েছে, ধৃতরা প্রকাশ করেছে যে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জনগণকে উত্তেজিত করতে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করতে দাঙ্গার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতায়াবা রাজাপক্ষের ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সাধারণ শ্রীলঙ্কাবাসী। এই ঘটনায় পঁয়তাল্লিশ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সহিংসতার ঘটনায় দশজন জখমও হয়েছেন। এই হিংসার ঘটনার জেরে কলোম্বো জুড়ে কার্ফু জারি করা হয়েছিল গতরাতে। সকাল হতে অবশ্য বিভিন্ন স্থান থেকে কার্ফু প্রত্যাহার করা হয়। যদিও এখনও সেখানকার পরিস্থিতি থমথমে। জানা গিয়েছে, গতকাল নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ছোড়ে প্রতিবাদীদের লক্ষ্য করে। এদিকে প্রতিবাদীদের অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বিক্ষোভকারীরা গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে সেটি উলটে দেয়। ঘটনায় পাঁচ পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ‘ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ করলেন দেশের রাষ্ট্রপতি।