ভারতে যখন সমলিঙ্গের বিবাহ বৈধতা পাবে কি না, তা নিয়ে জোর জল্পনা, আলোচনা শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে মামলা, তখনই দেশের পড়শি দেশ শ্রীলঙ্কায় বড় পদক্ষেপ গৃহিত হল। সমলিঙ্গের সম্পর্ককে অপরাধের আওতা থেকে সরানোর পক্ষে শ্রীলঙ্কার সুপ্রিম কোর্ট সায় দিল। এই ঘটনাকে মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার সংসদের স্পিকার ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ বলে দাবি করেছে।
শ্রীলঙ্কার সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার মন্তব্য করেছে, ‘সমকামিতা অসাংবিধানিক নয়।’ সেদেশের সংসদে সমকামিতার ওপর থেকে অপরাধের তকমা ঘোচাতে একটি বিল পেশ করে শ্রীলঙ্কা সরকার। সেই বিলের সমর্থনেই বার্তা দিয়েছে এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্র। উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কায় সমলিঙ্গের সম্পর্কে বৈধতার আইনের দাবিতে নিয়ে লড়াই বহুদিনের। সেদেশে সমলিঙ্গের সম্পর্ককে অপরাধমূলক হিসাবে বিবেচনা করে তার জন্য শাস্তিযোগ্য ও দরিমানা যোগ্য বিধি লাগু ছিল। এই শাস্তির আওতায় ছিল কারাবাসও। এরপর গত মাসে এই সম্পর্ক ঘিরে অপরাধের তকমা ঘোচাতে পদক্ষেপ নেয় সেদেশের সংসদ। সংসদে আসে প্রাইভেট মেম্বার্স বিল। এদিকে, শ্রীলঙ্কায় সুপ্রিম কোর্টে সমলিঙ্গের সম্পর্ককে বৈধতা দিতে একাধিক পিটিশন লাগু হয়েছে। সেই পিটিশনের নিরিখে দুই তরফে বক্তব্য শুনে শ্রীলঙ্কার সুপ্রিম কোর্ট সেদেশে সমলিঙ্গের আইনকে অপরাধের তকমার বাইরে রাখার পক্ষে সায় দেয়।
(সাধের লাউয়ের স্বাদেই মুগ্ধ! এর গুণ শুনলে চমকে যাবেন, দূরে রাখে বহু রোগ জ্বালা)
( 'মনে হচ্ছে তাঁর নেত্রী রাজে, সনিয়া গান্ধী নন', গেহলোটকে নিয়ে বিস্ফোরক পাইলট)
শ্রীলঙ্কার সংসদের স্পিকার বলেন,'সুপ্রিম কোর্টের অভিমত যে বিলটি সামগ্রিকভাবে বা এর কোনও বিধান সংবিধানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ নয়।' শ্রীলঙ্কার এক আইন বিশেষজ্ঞ কভীশা কসওয়াটে বলছেন, ‘আসল পরিবর্তন’এর জন্য এই পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সংসদের মাধ্যমে প্রস্তাবিত আইনটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এখনও ২২৫ জন সংসদ সদস্যের সমর্থন জরুরি। আর সেই ঘটনা ঘিরে আপাতত পাখির চোখ রাখছেন সেদেশের সমলিঙ্গের সম্পর্ককে বৈধতার দাবিতে সোচ্চার হওয়া আন্দোলনকারীরা।