কেটে গিয়েছে তিন দশক। জেলবন্দি রয়েছেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ডে দণ্ডিত সাতজন। এবার তাদের মুক্তি চাইলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে রাজীব হত্যায় সাত বন্দি নলিনী শ্রীহরণ, মুরুগান, পেরারিভিলান, রর্বাট পায়াস, রবিচন্দ্রন, সায়ান্থন ও জয়াকুমারের মুক্তির আর্জিতে চিঠি পাঠালেন তিনি।
বুধবার রাষ্ট্রপতিকে পাঠানো ওই চিঠিতে স্ট্যালিন লেখেন, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে খুনের অপরাধে তিন দশক ধরে জেলে রয়েছেন আসামীরা। অবর্ণনীয় যন্ত্রণায় ভুগেছেন। কৃতকর্মের চরম শাস্তি পাচ্ছেন দোষীরা। তাঁর আর্জি, সেজন্য আসামীদের মুক্তি দেওয়া হোক।
২০১৪ সালে রাজীব হত্যার ৭ দোষীর মুক্তির উদ্যোগ নেন তামিলনাড়ুর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয় কেন্দ্র। সেই মামলায় দোষীদের মুক্তির নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করে দেশের শীর্ষ আদালত। ২০১৮ সালেও তামিলনাড়ুর তৎকালীন শাসকদল এআইএডিএমকে, এই সাত খুনির মুক্তির সুপারিশ করেছিল। সেই সুপারিশকেই কার্যকর করার অনুরোধ জানালেন স্ট্যালিন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের ২১ মে শ্রীপেরামপুদুরে ভোটপ্রচারে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। ওই দিনই অনুগামীদের ভিড়ের মধ্যে এক মহিলা তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করতেই প্রবল বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় রাজীব গান্ধীর দেহ। এই ভয়াবহ বিস্ফোরণে তাঁর সঙ্গে আরও ১৪ জন প্রাণ হারান। পরে তদন্তে উঠে আসে, ওই আত্মঘাতী মহিলা নিজের শরীরে জিলেটিন স্টিক বেঁধে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে নলিনী মুরুগান-সহ একাধিক জনকে দোষীসাব্যস্ত করে মৃত্যৃদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে।তার পর থেকে এই হাইপ্রোফাইল মামলা আদালতের দরজায় ঘুরতে থাকে। মৃত্যুদণ্ড খারিজের দাবিতে বারবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান দোষীরা। তবে শেষে তাদের মধ্যে চার জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। পরে তা যাবজ্জীবন সাজা করা হয়।