লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের লাইনে দাঁড়ানো মহিলাদের হাতে কড়কড়ে ৫০০ টাকার নোট তুলে দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান। বিজেপির তরফে তীব্র কটাক্ষ করে অভিযোগ তোলা হয়েছে যে, ওই পঞ্চায়েত প্রধান নিজের তহবিল থেকে টাকা করে দিয়েছেন। অবশ্য এর পাল্টা পঞ্চায়েত প্রধান দাবি করেছেন, তিনি জনগণকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পকে মেলে ধরতে নিজের সঞ্চিত অর্থ দিয়েই এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন।
ঘটনা ঘিরে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে দেগঙ্গার চাপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এদিন মাটির তৈরি লক্ষ্মীর ভাঁড় কিনে তার মধ্যে ৫০০ টাকার নোট ভরে ৩০ জন মহিলার হাতে তুলে দেন তিনি। এইভাবে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী।
এদিন চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোসাইপুর এফপি স্কুলে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের সূচনা করা হয়। ওই ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদন পত্র বিলি পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যা সমাধানের জন্য আবেদনপত্র জমা পড়ে। তারপরেই এই কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। মহিলাদের হাতে লক্ষ্মীর ভান্ডার দেওয়া নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই পঞ্চায়েত প্রধান। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির তরফ থেকে কটাক্ষ করা হয়েছে ।
পদ্ম শিবিরের দাবি, এখন লক্ষ্মীর ভান্ডারে আবেদনপত্র পূরণ করা চলছে। সব মানুষেরাই অ্যাকাউন্ট নাম্বার দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে নথিগুলো খতিয়ে দেখার পরে টাকা সরাসরি গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে। পঞ্চায়েত প্রধান তাঁর আগেই বাসিন্দাদের টাকা দিয়ে প্রভাবিত করেছেন। এর আগেই টাকাটা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কোথা থেকে পেলেন, তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হক সহাজি বলেন, ‘ পঞ্চায়েত প্রধান যে কাজটি করেছেন সেটা করা তার উচিত হয়নি। হুমায়ুন জানান, নিজের সঞ্চিত টাকা আবেগপ্রবণ হয়ে মেয়েদের হাতে ৫০০ তুলে দিয়েছি। পরে সেই টাকা ফেরত নিয়ে নেওয়া হয়েছে।
’