দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে একের পর এক ঘটনা ঘটছে। যা সামনে আসতেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা পর্যন্ত অবাক হয়ে যাচ্ছেন। সোমবার একটি ঘটনা রাজ্য সরকার তুলে ধরেছিল সর্বোচ্চ আদালতে। পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে প্রশ্ন তুলেছিল, ‘খুন হওয়া ব্যক্তি বেঁচে আছেন কীভাবে!’ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে কপিল সিবালের এই সওয়ালে স্বভাবতই বিপাকে পড়েছে বিরোধীরা। অবাক হয়েছেন বিচারপতিরা। আজ, মঙ্গলবার রাজ্য সরকার নোট পেশ করে সর্বোচ্চ আদালতে দাবি করল, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ সংক্রান্ত ২৮৭৭টি অভিযোগ খতিয়ে দেখেছে রাজ্য পুলিশ। যার মধ্যে ১৩৫৬টি ভুয়ো অভিযোগ। আর তাতেই আবার চোখ কপালে উঠেছে বিচারপতির।
এখানেই শেষ নয়। সর্বোচ্চ আদালতে রাজ্য সরকারের কটাক্ষ, ‘কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই রাজ্যে যে তদন্ত করছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। তাই সংঘর্ষের তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই এখন ডাকাতির মামলারও তদন্ত করছে।’ এই কথা বলতেই হাসির রোল ওঠে সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আজ দাবি করা হয়েছে, পুলিশ ১৪২৯টি মামলা করেছে। আর ৬৫২টি অভিযোগের এফআইআর দায়ের করেছে। ৮ হাজারের বেশি মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ৫ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফৌজদারি ধারায় নোটিশ পাঠানো হয়েছে ২ হাজার ৯৮৯ জনকে। আর জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে যে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ ভুল।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দায়ের করা এই মামলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, নির্বাচন কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন– সহ মোট ৪২ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দাবি, সিবিআই তদন্ত হয় বন্ধ করা হোক, নয়তো তাতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। যদিও কোনও রায় এখনও দেয়নি সর্বোচ্চ আদালত। এদিন আরও জানানো হয়েছে, গত ৫ মে শপথ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশনের হাতে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে বিজেপি ঘনিষ্ঠ হওয়ারও অভিযোগ করেছে রাজ্য সরকার।