বাদল অধিবেশন শেষ হলেও পেগাসাস বিতর্ক অব্যাহত। এই বিষয়ে বিরোধীরা একজোট হয়েছে। তাই পেগাসাস ইস্যুতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এমবি লোকুরের নেতৃত্বে দুই সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল রাজ্য সরকার। রাতারাতি এই তদন্ত কমিশনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছিল। এবার সেই দুই সদস্যদের কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করার ইস্যুতে হলফনামা জমা দিল রাজ্য সরকার।
ফোনে আড়িপাতা বিতর্ক এখন তুঙ্গে উঠেছে। কারণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ রাজ্যকে নোটিশ দেয়। পাল্টা হলফনামায় রাজ্য বলে, তারা চায় পেগাসাসকাণ্ডে রাজ্য গঠিত কমিটিই তদন্ত করুক। এমনকী রাজ্যের অভিযোগ, ‘জনস্বার্থ মামলাকারী স্বেচ্ছাসেবি সংস্থার সঙ্গে আরএসএস যোগ আছে।’ আর তাতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ফোনে আড়িপাতার ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় সরকার এই আড়িপাতার কাজ করেছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছে। এমনকী গত ১৮ অগস্ট এই মামলার শুনানি হয়। পেগাসাস ইস্যুতে রাজ্য সরকার যে বিচারবিভাগীয় প্যানেল তৈরি করেছে তা করার সাংবিধানিক অধিকার রাজ্যের রয়েছে বলেই হলফনামায় দাবি করা হয়েছে।
সংসদের বাদল অধিবেশনে যখন পেগাসাস ইস্যুতে উত্তাল তখন কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে তদন্তের উদ্যোগ না নেওয়ায় রাজ্য সরকার তার সাংবিধানিক ক্ষমতার আওতায় প্যানেল গঠন করেছে। বিজেপির আপত্তির কারণেই এই মামলা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে হলফনামায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের কথা বলা হয়েছে। তবে রাজ্য সরকার আজ জানিয়ে দিয়েছে, আদালত সমস্ত অভিযোগ না শোনা পর্যন্ত তদন্ত শুরু করা হবে না।