স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন করা বারণ। কিন্তু কে শোনেন কার কথা? লুকিয়ে চুরিয়ে অবলীলায় চলছিল গৃহ শিক্ষকতা। তবে এবার গৃহশিক্ষকতা রোধে কড়া হচ্ছে রাজ্য সরকার।
এনিয়ে এবার রাজ্যের ৪৫টি স্কুলে নোটিস পাঠাল রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। বেলঘরিয়া, দমদম, বরানগর সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় থাকা স্কুলে এই নোটিস পাঠানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২০০ জন শিক্ষক শিক্ষিকার নামে নোটিস পাঠানো হয়েছে যাঁরা কার্যত চুটিয়ে টিউশনি করছেন বলে অভিযোগ।
কেন তারা নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গৃহশিক্ষকতা করছেন তা নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে কৈফিয়ৎ চেয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। এদিকে সূত্রের খবর, এর আগেও স্কুল শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা রোধে নানা উদ্যোগ নিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। কিন্তু বাস্তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি। প্রকৃত গৃহশিক্ষকরাও সংগঠনগতভাবে স্কুল শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে কাজের কাজ বিশেষ কিছু হয়নি।
তবে সূত্রের খবর, এবার ঠিক আগের মতো নয়। শুধু কৈফিয়ৎ চাওয়া হবে, সতর্ক করা হবে এমনটা নয়। এবার শাস্তিমূলক পদক্ষেপও নেওয়া হবে বলে খবর। কিন্তু প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে তারপরেও কি আদৌ সতর্ক হবেন স্কুল শিক্ষকরা?
তবে সূত্রের খবর, স্কুল শিক্ষকদের একাংশ স্কুলে ভালো করে না পড়িয়ে গৃহশিক্ষকতায় ব্যস্ত থাকেন। এমনকী স্কুল ফাঁকি দিয়ে গৃহশিক্ষকতা করার নজিরও রয়েছে। এর জেরে ভুগতে হয় সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের। অনেকের পক্ষেই মোটা টাকা দিয়ে স্কুল শিক্ষকদের বাড়িতে পড়তে যাওয়া সম্ভব হয় না। তবে এবার আদৌ কতটা ফল হয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন অনেকে।