কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পাশ হয়েছে এক দেশ এক ভোট বিল। আর এবার এনিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে কী লিখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী? বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় লিখেছেন, 'বিশেষজ্ঞ ও বিরোধী নেতাদের উত্থাপিত প্রতিটি দাবি, যুক্তি ও উদ্বেগকে উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অসাংবিধানিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় বিরোধী এক দেশ -এক ভোট বিল এনে তাদের রাস্তা তৈরি করেছে। এটা বিচার বিবেচনা করে আইনের সংস্কার নয়। এটা ভারতের গণতন্ত্র ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দুর্বল করার জন্য এটা জোর করে চাপিয়ে দেওয়া কর্তৃত্ব। আমাদের সাংসদরা এই বিলের বিরোধিতা করবেন সংসদে। দিল্লি স্বৈরাচারী ইচ্ছার কাছে বাংলা মাথা নত করবে না। এই লড়াই ভারতের গণতন্ত্রকে স্বৈরাচারের কবল থেকে বাঁচানোর জন্য।' কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা।
অন্যদিকে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল লিখেছেন, দেশের প্রয়োজন এক দেশ এক শিক্ষা, এক দেশ, এক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এক দেশ এক ভোট নয়। বিজেপির ভুল অগ্রাধিকার।
কার্যত এক দেশ এক ভোটের বিরোধিতার ইস্যুতে এবার সুর চড়াতে শুরু করল তৃণমূল ও বিজেপি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পাস হয়ে গেল 'এক দেশ, এক নির্বাচন' বিল। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার তরফ থেকে এই বিলে সিলমোহর দেওয়া হয়। যার প্রধান লক্ষ্য হল - সারা দেশে একইসঙ্গে সমস্ত নির্বাচনের আয়োজন করা।
কী হতে পারে এই এক দেশ এক ভোটের মাধ্যমে?
গত সেপ্টেম্বর মাসে 'এক দেশ, এক নির্বাচন'-এর উদ্যোগে সম্মতি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। যাতে উল্লেখ করা হয়েছিল, এই বিল আইনে পরিণত হলে আগামী দিনে সারা দেশে লোকসভা, বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত ও পৌর নির্বাচন , ১০০ দিনের সময়সীমার মধ্যে কার্যত একসঙ্গে মিটিয়ে ফেলা হবে। তবে এই বিলকে মানতে পারছে না বিরোধীদের অনেকেই। সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল আপ।
তবে মোদী সরকারের যুক্তি, এই সিস্টেম কার্যকরী হওয়ার পরে একদিকে যেমন নির্বাচনের খরচ কমবে, তেমনই বারবার নির্বাচনী বিধিনিষেধ এবং আদর্শ আচরণ বিধি পালনের ঝক্কিও কমবে। সেক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক কাজ করার সময় আরও বেশি পাওয়া যাবে বলেও দাবি করছে সরকার পক্ষ।
সরকারি পক্ষের তরফে বার বার বলা হয়েছে ভোটের আগে আদর্শ আচরণ বিধির জেরে অনেকদিন ধরে উন্নয়ন থমকে থাকে। তবে রামনাথ কোবিন্দের কমিটি যে সুপারিশ করেছিল সেখানে মূলত ২০২৯ সালের পরে এই নয়া সিস্টেম লাগু করা যেতে পারে বলে অভিমত দেওয়া হয়েছিল।