রাজ্যকে সরাসরি করোনাভাইরাস টিকা কিনতে দেওয়ার জন্য একাধিকবার আর্জি জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাথমিকভাবে সেই পথে হাঁটেনি কেন্দ্র। কিন্তু সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের মধ্যে রাজ্যগুলিকে সরাসরি টিকা কেনার অনুমতি দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কেন্দ্রের তরফে জানানো হল, উৎপাদকরা ৫০ শতাংশ টিকা রাজ্য সরকার এবং খোলাবাজারে জোগান দিতে পারবে।
সোমবার সন্ধ্যায় তৃতীয় দফায় 'উদারীকরণ এবং ত্বরান্বিত' টিকাকরণ প্রক্রিয়ার জন্য নয়া সিদ্ধান্তের ঘোষণা করে কেন্দ্র। তাতে জানানো হয়, উৎপাদকদের প্রতি মাসে ৫০ শতাংশ টিকা কেন্দ্রকে দিতে হবে। বাকি ৫০ শতাংশ টিকা রাজ্য সরকার এবং খোলা বাজারে জোগান দিতে পারে সংশ্লিষ্ট উৎপাদক সংস্থা। কত দামে সেই টিকা বিক্রি করা হবে, তা আগামী ১ মে'র আগে ঘোষণা করতে হবে। সেই দামের ভিত্তিতে রাজ্য সরকার, বেসরকারি হাসপাতাল, শিল্প প্রতিষ্ঠান-সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলি উৎপাদকদের থেকে টিকা কিনতে পারবে। একইসঙ্গে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে নিজেদের দায়িত্বে টিকা নিতে হবে। কেন্দ্রের জন্য বিশেষভাবে যে ৫০ শতাংশ টিকা প্রদান করা হবে, তা থেকে টিকা পাবে না বেসরকারি হাসপাতালগুলি।
সেই সিদ্ধান্তের আগে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে একটি উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে মোদী দাবি করেন, ন্যূনতম সময় যাতে সর্বাধিক ভারতীয় করোনা টিকা পান, সেজন্য গত এক বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করছে সরকার। সঙ্গে তিনি দাবি করেন, রেকর্ড গতিতে টিকাকরণ চালাচ্ছে ভারত। আগামিদিনে সেই টিকাকরণের গতি আরও বাড়ানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি চিকিৎসক এবং বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী।