করোনা মোকাবিলায় রাজ্যগুলি এখন তাদের দুর্যোগ ত্রাণ তহবিলের ৫০ শতাংশ অর্থ ব্যবহার করতে পারবে। আগে এর ৩৫ শতাংশের বেশি ব্যবহার করা যেত না। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবার ৭ রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠকে এ কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাডু, দিল্লি ও পঞ্জাব— এই ৭ রাজ্যের সঙ্গে এদিনের বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ছিলেন।
এদিন প্রধানমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘দেশে ৭০০টিরও বেশি জেলা রয়েছে। তবে তার মধ্যে সাতটি রাজ্যের মোট ৬০টি জেলা নিয়ে চিন্তা রয়েই যাচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী বর্তমান করোনা পরিস্থিতি পরিবর্তনের উদ্দেশে এদিন ওই ৭ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ৭ দিনের জন্য জেলা ও ব্লক স্তরের প্রাশসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি রাজ্যের থেকে কিছু না কিছু শিখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী এদিন রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দেন, কার্যকর করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে হবে। সেগুলির ফলাফলের ওপর নজর রাখতে হবে। চিকিৎসা পরিষেবা জোরদার করা এবং রোগী ও তাঁদের পরিজনদের স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘সঠিক বার্তাটা যাওয়া খুবই জরুরি। কারণ, বেশিরভাগ করোনা রোগীরই কোনও উপসর্গ দেখা দেয় না। এ ধরনের পরিস্থিতিতে গুজব ছড়াতে পারে। মানুষের মনে এই সন্দেহ জাগতে পারে যে কোভিড টেস্ট করানো খারাপ। কিছু লোকজন সংক্রমণের সম্ভাবনাকেও তুচ্ছ বলে মনে করে।’
মাস্ক পরার ব্যাপারেও এদিন দেশবাসীর কাছে আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা সংক্রমণ রুখতে মাস্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু এটা ঠিক যে, দৈনন্দিন জীবনে মাস্ক পরার অভ্যাসটা আনা খুবই কঠিন। কিন্তু মাস্ক পরা অভ্যাস না করলে পরিস্থিতির বদল সহজে হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী এদিনের বৈঠকে বলেন, ‘ভারত এই কঠিন সময়ে সারা বিশ্বে জীবনদায়ী ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। দেশে ওষুধগুলি সহজেই যাতে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পৌঁছে যায় তা দেখতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’