১৮-৪৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণের জন্য মে মাসে মোট দু'কোটি ডোজ পাবে রাজ্যগুলি। সুপ্রিম কোর্টকে দেওয়া তথ্যে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাকিটা নির্দিষ্ট কোটা অনুযায়ী, রাজ্যগুলিকে সরাসরি টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থার থেকে কিনতে হবে বলে জানানো হয়েছে। চলতি মাসে দেশে মোট ৮.৫ কোটি করোনা টিকার ডোজ উৎপাদন হওয়ার কথা।
কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, এই দু'কোটি ডোজ সমানভাবে রাজ্যগুলিকে ভাগ করে দেওয়া হবে। কোনও রাজ্যে ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের জনসংখ্যা যত, সেই অনুপাতেই টিকা বণ্টন করা হবে। যদিও কয়েকটি রাজ্য সরকারের অভিযোগ, টিকার ডোজ সমবণ্টন করছে না কেন্দ্র।
যদিও রাজ্যগুলির এই অভিযোগ নস্যাৎ করেছে কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের জবাব দিয়েছে, 'রাজ্যগুলি সরাসরি টিকা প্রস্তুতকারকদের থেকে ক্রয় করছে। এর পাশাপাশি সম বণ্টনের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্র নির্দিষ্ট অনুপাতে টিকা প্রেরণ করছে রাজ্যগুলিকে।'
কেন্দ্রের নিয়মানুসারে টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে তাদের মোট উৎপাদনের অর্ধেক সংরক্ষণ করতে হয় কেন্দ্রের জন্য। বাকি ৫০% রাজ্য সরকার ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সমানভাবে বিক্রির জন্য। যে দু'কোটি ডোজ কেন্দ্র পাঠাবে, তা দিয়েই বিনামূল্যে ১৮-৪৪ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার কথা রাজ্যগুলির। ভারতে এই বয়সিদের জনসংখ্যা প্রায় ৫৯.৫ কোটি। ফলে, এই বিপুল জনসংখ্যাকে টিকাকরণ মোটেও সহজ নয়।
কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে সমানভাবে টিকা বণ্টন করছে না বলে অভিযোগ তুলেছে একাধিক রাজ্য। মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে বলেন, 'এই মুহূর্তে করোনার দ্বিতীয় ডোজের চাহিদা অত্যন্ত্য বেশি। কিন্তু সে তুলনায় সরবরাহ কম। ফলে ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের বদলে যাঁদের বেশি প্রয়োজন, সেই ৪৫ র্ধ্বদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়াতে গুরুত্ব দিতে হচ্ছে। '