অভিযুক্ত 'প্রতিভাবান পড়ুয়া' এবং 'রাজ্যের ভবিষ্যতের সম্পদ'। তাই তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করবেন বা প্রমাণ বিকৃত করবেন বলে মনে হয় না। এমনই কারণ দর্শিয়ে আইআইটি গুয়াহাটির ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত পড়ুয়াকে জামিন দিল গৌহাটি হাইকোর্ট। আইনি পোর্টাল ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চে’-র প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে।
চলতি বছর ২৮ মার্চ আইআইটি গুয়াহাটির এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এপ্রিলে গ্রেফতারির পর অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করে দেয় আইআইটি কর্তৃপক্ষ। সেই মামলার শুনানিতে দু'পক্ষের সওয়াল-জবাব, মেডিকেল রিপোর্ট, এএফআইআর, চার্জশিট, তথ্য অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর বিচারপতি অজিত বরঠাকুর জানান, প্রাথমিকভাবে স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণের মামলা আছে।
আইনি পোর্টাল ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাইকোর্ট জানিয়েছে যে তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। নির্যাতিতা এবং অভিযুক্ত দু'জনই 'প্রতিভাবান পড়ুয়া' এবং 'রাজ্যের ভবিষ্যৎ সম্পদ'। যাঁরা আইআইটি গুয়াহাটিতে টেকনিকাল কোর্স করছেন। দুটি ভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা তাঁরা। বয়সও কম - ১৯ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। তাই অভিযুক্তকে একটানা আটকে রাখার কোনও প্রয়োজনীয়তা নাও থাকতে পারে। হাইকোর্ট বলেছে, চার্জশিটে সাক্ষ্যদের যে তালিকা আছে, তা খতিয়ে দেখার পর 'জামিনে মুক্ত হলে অভিযুক্ত যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনও তথ্যপ্রমাণ বিকৃতি বা সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন, তেমন কোনও সম্ভাবনা খুঁজে পাচ্ছে না আদালত।'
শেষপর্যন্ত কয়েকটি শর্তের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ছাত্রের জামিন মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট। শর্ত হিসেবে নির্দিষ্ট তারিখে অভিযুক্তকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। লিখিত অনুমতি ছাড়া ট্রায়াল কোর্টর বিচারবিভাগের আওতাভুক্ত এলাকা ছাড়তে পারবেন না। পুলিশ বা আদালতের কাছে কেউ কোনও তথ্য জানাচে চাইলে তাঁকে কোনওরকম বাধা বা হুমকি বা প্রতিশ্রুতি দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।