জম্মুতে বায়ুসেনা স্টেশনে পরপর বিস্ফোরণ ঘটানো হয় ড্রোনের সাহায্যে। সেই হামলার নেপথ্যে লস্কর জঙ্গি গোষ্ঠীর হাত থাকার সম্ভাবনার কথা আগে থেকেই জানানো হয়েছিল সেনার তরফে। এবার সেনার তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হল যে পাক সরকারের মদতেই হয়ত এই হামলা চালানো হয়েছিল। বুধবার সেনার ১৫ কোর কমান্ডার এই সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেন। এই বিষয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডিপি পাণ্ডে বলেন, 'এই প্রযুক্তি বা ড্রোন রাস্তার ধারে বসে তো কেউ বানায়নি। এটার একটাই মানে, এই প্রযুক্তি, এই হাতিয়ার কোনও সরকারের মতে পেয়েছে জঙ্গিরা।'
উল্লেখ্য, গত বেশ কয়েক মাস ধরে মধ্যপ্রাচ্যে ভারত-পাক ব্যাকচ্যানেল আলোচনা চলছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। এই আবহে উপত্যকায় বেশ শান্তি বিরাজ করছিল। সংঘর্ষ বিরতিচুক্তি ফের স্থাপন হয়। তবে কাশ্মীরের রাজনীতিবিদদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকের পরেই চিত্র পুরোপুরি বদলে যায়।
বৈঠকের কিছুদিন পরেই ২৭ জুন জম্মুতে ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে একটি ড্রোন-হামলা হয়। এরপরই অপর এখ ঘটনায় এক এসপিও এবং তাঁর পরিবারকে গুলি করে মারা হয় পুলওয়ামায়। এই আবহে একাধিকবার জম্মুর বিভিন্ন সেনা ঘআঁটির উপর চক্কর কাটতে দেখা গিয়েছে আরও ড্রোনকে। যদি সেগুলিকে গুলি করে নষ্ট করা বা ধরতে পারেনি সেনা।
এর আগে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হেরোইন চোরাচালান ও ভারতের সীমান্তে অস্ত্র পাচারের জন্য পাকিস্তান ব্যাপকভাবে ড্রোন ব্যবহার করেছে। তাই এই হামলার নেপথ্যে যে পাকিস্তানের হাত রয়েছে, সেই সংক্রান্ত প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে গোয়েন্দাদের মনে। এই রেশ টেনেই সেনা আধিকারিক বলেন, 'এই প্রযুক্তি স্থানীয় ভাবে উপলব্ধ। তবে হামলা চালাতে যেই প্রযুক্তিগত উন্নতির প্রয়োজন, তা কোনও দেশের সরকারই করে থাকতে পারে। সেই দেশ বিষয়ি অস্বীকার করতেই পারে। তবে সেনা জানে যে এই অস্ত্র এবং প্রযুক্তি কোথা থেকে আসছে। তাই আমাদের নজরদারি চালাতে হবে। এবং এই পুরো বিষয়টিতে যারা আসলে দোষী তাদের দায়ী করতে হবে।'