ফের করোনা টিকার সরবরাহ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল একাধিক রাজ্য। টিকার আকালের অভিযোগ তুলেছে অন্তত তিনটি রাজ্য। যদিও কেন্দ্র টিকার এই আকালের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে মে মাস নাগাদ টিকার আকাল নিয়ে সরব হয়েছিল একাধিক রাজ্য। সেই সময় টিকাকরণের দায়িত্ব পুরোপুরি নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় কেন্দ্র। এরপর কেন্দ্র দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৮৫ লক্ষ টিকাকরণের মাধ্যমে রেকর্ডও গড়ে। তবে এরপর ফের টিকাকরণের গতি নিম্নমুখী হয়।
তবে রাজ্যের এহেন অভিযোগকে উড়িয়ে দেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। এদিন তিনি টুইট করে দাবি করেন, জুন মাসে রাজ্য গুলিকে ১১৪.৬ মিলিয়ন টিকার ডোজ পাঠানো হয়েছিল রাজ্যগুলিকে। আর জুলাই মাসে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৩৫ মিলিয়ন।পাশাপাশি তিনি জানান, রাজ্যগুলিকে গতমাসেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে কোন কিস্তিতে কত টিকা পাঠানো হবে।
গত সাত দিনে গড়ে ৩৪ লক্ষ করে টিকাকরণ হয়েছে দেশে। এই আবহে টিকার আকালের অভিযোগ তুলে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, 'রোজ ৩ থেকে ৪ লক্ষ টিকা দেওয়ার সামর্থ রয়েছে আণাদের। তবে সোমবার রাত পর্যন্ত আমাদের হাতে শুধউমাত্র ১.৫ লক্ষ টিকা পড়ে ছিল। বুধবার পর্যন্ত এই টিকা আমরা কোনওভাবে চালাতে পারব। এরপর টিকার অভাবে আমরা টিকাকরণ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হব।'
এদিকে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন টিকার আকালের বিষয়ে চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি দাবি করেন, রাজ্যের হাতে পর্যাপ্ত টিকা নেই। টিকার সরবরাহ ঠিক ভাবে হচ্ছে না তামিলনাড়ুতে। তিনি লেখেন, 'এই পরিস্থিতিতে রাজ্য জুড়ে সবার টিকাকরণ করতে আমাদের অনে কসমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।'
এদিকে একই সুরে মহারাষ্ট্রও টিকার আকালের অভিযোগ তুলেছে। এই সপ্তাহেই রাজ্যের বহু টিকা কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। মহারাষ্ট্র কেন্দ্রের কাছে প্রতি মাসে ৩ কোটি টিকা চেয়েছে। তবে চারদিন আগে তারা মাত্র ৭ লক্ষ ডোজ টিকা পাঠানো হয় রাজ্যকে। এই স্বল্পসংখ্যক টিকা নিয়ে রাজ্যে টিকাকরণ চালানো সম্ভব নয় বলে জানায় মহারাষ্ট্র।
এই অভিযোগের আবহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে, আমরা ম্যারাথন দৌড়াচ্ছি, স্প্রিন্ট নয়। সবাইকে এই বিষয় সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মাথায় রাখতে হবে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই আমাদের হাতে আরও টিকা চলে আসবে। এরপর রাজ্যগুলিকে আরও টিকা পাঠানো হবে।