পূর্বঘোষিত সময়ের আগেই সংসদ চত্বরে পুরনো অবস্থান থেকে সরল মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি। মঙ্গলবার সকালে সংসদ ভবনের মুখোমুখি তিন নম্বর গেটের কাছে আরও শান্ত পরিবেশে মূর্তিটি সরানো হয়েছে।
সংসদ চত্বরে তড়িঘড়ি গান্ধীমূর্তি স্থানান্তরের ঘটনায় অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। আগে ঠিক ছিল, বাজেট অধিবেশনের দুই অর্ধের মধ্যবর্তী একমাস সময়ে গান্ধীমূর্তির অবস্থান বদল ঘটানো হবে।
জানা গিয়েছে, নতুন সংসদ ভবন নির্মাণের জন্য স্থান সংকুলানের স্বার্থেই দ্রুত সিদ্ধান্ত পালটে মূর্তি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
অধ্যক্ষের দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গান্ধীমূর্তির চটজলদি স্থান পরিবর্তনের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন লোক সভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা স্বয়ং। সংসদে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন বা নীতি নির্ধারণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এই মূর্তির পাদদেশই পছন্দ করতেন বিরোধীরা। গত বর্ষাকালীন অধিবেশনে রাজ্য সভায় কৃষি বিল পাশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গান্ধীমূর্তির সামনে রাতভর অবস্থান করেছিলেন বিরোধী সাংসদরা।
ওয়াকিবহাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব অবস্থান থেকে সাবধানে সরিয়ে তিন ননম্বর গেটের কাছে একটুকরো ঘাসজমির উপরে গান্ধীমূর্তি পুনর্স্থাপনের কাজটি সম্পূর্ণ করেছে পিডব্লুডি। মনে রাখা দরকার, তিন নম্বর প্রবেশদ্বার দিয়ে সরাসরি অধ্যক্ষের দফতরে পৌঁছানো যায় এবং গেটটি সংসদে প্রবেশ করতে ব্যবহার করেন অধ্যক্ষ।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিটি শেষ পর্যন্ত বসানো হবে নতুন সংসদ ভবনের ঠিক বাইরেই কোনও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হবে। বর্তমানে সেই জায়গায় রয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা স্বাধীনতা সংগ্রামী গোবিন্দ বল্লভ পন্থের মূর্তি। পন্থের মূর্তিটি এখান থেকে সরিয়ে বসানো হবে নয়া দিল্লির পন্থ মার্গে।
গান্ধী মূর্তি স্থানান্তরের কারণে আসন্ন বাজেট অধিবেশনে বিরোধীদের বিক্ষোভ অবস্থান করতে সমবেত হতে হবে একেবারে অধ্যক্ষের দফতরের সামনে।
১৬ ফিট উচ্চতার ধ্যানরত মহাত্মা গান্ধীর ব্রোঞ্জের মূর্তিটির শিল্পী রাম সুতার। ১৯৯৩ সালের ২ অক্টোবর মূর্তিটির আবরণ উন্মোচনকরেন তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি ডক্টর শংকর দয়াল শর্মা।