উৎসবের মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে। সামনেই রয়েছে দিওয়ালি। আর সেই সময়ে দিল্লির আকাশ বাতাস যাতে দূষণ মুক্ত থাকে তা প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এদিকে, দিল্লিতে বিভিন্নভাবে ছড়াচ্ছে দূষণ। আর রাজধানী যাতে নিশ্চিন্তে শ্বাস নিতে পারে , তার জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ১৫ পয়েন্টের একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছেন। সেখানে ৬ অক্টোবর থেকে ৩৮০ টি টিম বাজি ফাটানো বিরোধী প্রচার ও অ্যান্টি ডাস্ট ক্যাম্পেনে অংশ নিতে চলেছে। তাঁর মাস্টার প্ল্যানে আর কী কী রয়েছে দেখা যাক।
PUSA এর তরফে তৈরি বায়ো ডিকম্পোজড দেওয়া হবে কৃষকদের যাতে তাঁরা ফসলের পরিত্যক্ত অংশ শুকিয়ে যাওয়ার পর তা পুড়িয়ে বায়ু দূষণে মদত দিতে বাধ্য না হন। বায়ো ডিকম্পোজার দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে ৫ হাজার একর জমিতে।
অক্টোবরের ৬ তারিখে শুরু হচ্ছে অ্যান্টি ডাস্ট ক্যাম্পেন। সেই উদ্যোগে ধুলোকণা থেকে দূষণের রিয়েল টাইম পরিসংখ্যান উদ্ধার হবে।
৮০ টি রোড সুইপিং মেশিন দিয়ে গাড়ির থেকে ছড়ানো দূষণকে চেক করা হবে।
দিল্লিতে খোলা জায়গায় আবর্জনা পোড়ানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই কাজে নজরদারির জন্য ৬০০ টি টিম তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
কোনও শিল্প সংস্থার ইউনিট যাতে জ্বালানি ব্যবহার না করে ন্যাচরাল গ্যাস ব্যবহার করে তার দিকে খেয়াল রাখার কথা বলা হয়েছে।
বাজি কেনা, বেচা, ফাটানো নিয়ে সব বিধি পালিত হচ্ছে কি না তার নজরদারিতে ২০০ টি দল।
আইআইটি কানপুরের সঙ্গে সহযোগিতায় দিল্লির দূষণ নিয়ে রিয়েল টাইম তথ্য দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হচ্ছে।
এছাড়াও সাড়ে আট হাজার পরিবহন বন্ধুদের দ্বারা মানুষকে সজাগ করা হবে দূষণের বিষয়ে।
দিল্লি সরকার ইতিমধ্যেই ৩৩ লাখ গাছ রোপণ করেছে দূষণ রোধে। আরও ১০ লাখ গাছ রোপণের উদ্দেশ্য রয়েছে তাদের।
২৪X৭ গ্রিন রুম কর্মকাণ্ড শুরু হবে ৩ অক্টোবর থেকে। যার হাত ধরে পরবর্তী কী পদক্ষেপ করা যায়, তার বিশ্লেষণ শুরু হবে। থাকবে ৯ সদস্যের বিশেষজ্ঞ টিম।
ফেলে দেওয়া বৈদ্যুতিন যন্ত্র আবর্জনা আকারে ফেলার জন্য ই ওয়েস্ট পার্ক তৈরি করা হচ্ছে।
দিল্লি সরকার লঞ্চ করছে দিল্লি অ্যাপ। যেখানে দূষণ নিয়ে ৫৩ হাজার অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
দিল্লি সরকার ১৩ টি দূষণ হটস্পট চিহ্নিত করেছে।
GRAP কার্যকরী করা হবে।
যাতে দিল্লির আশপাশের এলাকা থেকে সিএনজি যুক্ত গাড়ি আসে, তার জন্য পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিকে আবেদন করেন কেজরিওয়াল।