এবছর প্রয়াগরাজে বসছে মহাকুম্ভ মেলা। সেই বিপুল আয়োজনের সাক্ষী থাকতে ইতিমধ্যেই ভারতে পৌঁছেছেন অ্য়াপল সংস্থার প্রয়াত সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জোবসের স্ত্রী লরেন্স পাওয়েল জোবস। মূল অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এখনও কিছুটা সময় বাকি। তার আগে শনিবার কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরে পুজো দিলেন লরেন্স।
পুজোর রীতি পালনের সময় মন্দিরের নিরঞ্জনী আখারার তরফে লরেন্সের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন স্বামী কৈলাসনন্দ গিরি মহারাজ-সহ অন্যরা।
মন্দিরে পুজো দিতে আসা বিদেশিনী লরেন্স পরেছিলেন সম্পূর্ণ ভারতীয় পোশাক। তাঁর পরনে ছিল - একটি গোলাপী রঙের কুর্তি এবং মাথা ঢাকা ছিল সাদা ওড়নায়। শনিবার মন্দিরের গর্ভগৃহের বাইরে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করতে দেখা যায় লরেন্সকে। যাবতীয় প্রথা ও রীতিনীতি মেনে কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরে পুজো দেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে কৈলাসনন্দ গিরি বলেন, 'তিনি (লরেন্স পাওয়েল জোবস) মন্দিরের সমস্ত নিয়ম মেনে, ভারতীয় ঐতিহ্য মেনে পুজো দেন। হিন্দু ছাড়া অন্য়ান্য ধর্মের মানুষের শিবলিঙ্গ স্পর্শ করার অনুমতি নেই। সেই কারণেই গর্ভগৃহের বাইরে দাঁড়িয়ে পুজো দেন তিনি।'
কৈলাসনন্দ আরও দাবি করেন, যেহেতু অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে মহাকুম্ভ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে, তাই ওঁরা সকলে (লরেন্স ও তাঁর সঙ্গে আসা বাকিরা) এই মেলার সুষ্ঠু সমাপন প্রার্থনা করেন।
তিনি আরও বলেন, 'আজ আমরা মহাদেবের কাছে এসেছিলাম। তাঁর কাছে প্রার্থনা করলাম, যাতে সমস্ত বাধা ও বিপত্তি পেরিয়ে মহাকুম্ভ মেলা সুসম্পন্ন হয়। আমি এখানে এসেছিলাম মহাদেবকে আমন্ত্রণ জানাতে। আমাদের সঙ্গে ছিলেন আমেরিকা থেকে আসা আমাদের শিষ্য মহর্ষি ব্যাসনন্দ। আগামিকাল আমার আখারায় তিনি একজন মহামণ্ডলেশ্বর হবেন।'
অন্যদিকে, লরেন্স ওরফে 'কমলে' (হিন্দু ধর্ম অনুসারে নাম) উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হতে চলা মহাকুম্ভ মেলায় অংশ নেবেন। কৈলাসনন্দের দাবি, আগামী কয়েকটা দিন মহাকুম্ভেই থাকবেন লরেন্স। এবং গঙ্গাস্নান করবেন বলেও তিনি পরিকল্পনা করেছেন।
প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভ মেলা শুরু হবে ১৩ জানুয়ারি থেকে। মেলা চলবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। যা প্রতি ১২ বছর অন্তর আয়োজিত হয়।
শনিবার এই উপলক্ষে একটি বিশেষ ওয়াটার লেজার শো-এর আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে মেলার প্রধান অনুষ্ঠানগুলি অভিনব কায়দায় তুলে ধরা হয়। উল্লেখ্য, এবছর যমুনা নদীর তীরে এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিল্পোন্নয়ন মন্ত্রী নন্দগোপাল গুপ্ত নন্দী।
সংশ্লিষ্ট ওয়াটার লেজার শো-টি চলে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে। এর জন্য প্রায় ২০ কোটি টাকা খরচ করা হয়।