সদ্য ভারতে পা রেখেছেন অ্যাপেলের সহ প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জোবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল। তিনি এদেশে মহাকুম্ভ সমারোহে যোগ দিতে এসেছেন। সদ্য তিনি বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁকে মারা পরানো থেকে প্রসাদ দান করা হলেও, মূল গর্ভগৃহে কাশী বিশ্বনাথের শিবলিঙ্গ ছুঁতে দেওয়া হয়নি। এর কারণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেছেন নিরঞ্জনী আখাড়ার স্বামী কৈলাসানন্দ গিরি।
সামনেই একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে স্টিভ জোবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েলের। সদ্য তিনি বারাণসী থেকে প্রয়াগরাজের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। সেখানে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি মহাকুম্ভের আসরে অংশ নেবেন। এরপর তিনি সেখান থেকে আমেরিকা ফিরে যাবেন, আমেরিকায় আগামী ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ পাঠে উপস্থিত থাকবেন লরেন। তার আগে, সদ্য বারাণসীর বিশ্বনাথ মন্দিরে পৌঁছন প্রয়াত স্টিভ জোবসের স্ত্রী। তবে লরেন পাওয়েল সেখানে গেলেও, তাঁকে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের শিবলিঙ্গ ছুঁতে দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, প্রয়াগরাজে যে নিরঞ্জনী আখাড়ার সঙ্গে লরেন পাওয়েল থাকবেন, সেই নিরঞ্জনী আখাড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী কৈলাসাবন্দ গিরি বলেন,'উনি খুবই ধার্মিক ও আধ্যাত্মিক। তিনি আমার মেয়ের মতো, মহর্ষি ব্যাসানন্দও সেখানে ছিলেন। আমাদের পুরো পরিবার ‘অভিষেক’ (পুজো পদ্ধতি) করেছে ও পুজো করেছে। ওঁকে (লরেন) প্রসাদ দেওয়া হয়েছে, মালা দেওয়া হয়েছে, তবে সেখানে একটি ঐতিহ্য রয়েছে যে হিন্দু ছাড়া কেউ কাশী বিশ্বনাথকে ছুঁতে পারবেন না। আমি যদি সেই ঐতিহ্য না মেনে চলি, তাহলে ঐতিহ্যভঙ্গ হবে।'
( Fire: 'আমায় ছেড়ে দাও মা',দাবানলের মাঝে বলেছিলেন সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত অভিনেতা! শেষে... LAর আগুন ঘিরে আর্তনাদ মায়ের)
মন্দিরের কড়া নিয়ম সম্পর্কে কৈলাসানন্দ গিরি বলেন,' কোনও সংঘাত নেই (লরেনের কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরে যাওয়া নিয়ে)। আমি স্পষ্ট করতে চাই, আমি একজন আচার্য, আমার কাজ হচ্ছে ঐতিহ্য মেনে চলা ও নিয়ম মেনে চলা।'
এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে মহাকুম্ভে ‘কল্পবাস’ পালনের কথা রয়েছে লরেনের। গঙ্গায় তিনি পূণ্যস্নানও করবেন বলে খবর। উল্লেখ্য, কৈলাসানন্দ গিরি তাঁকে ‘কমলা’ নামটি দিয়েছেন, যা তাঁর আধ্যাত্মিকতার প্রতীক বলে জানা যায়। জানা যাচ্ছে, গেরুয়া সালোয়ার সুটে কুম্ভের আসরে পৌঁছেছেন লরেন।
প্রসঙ্গত, ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে মহাকুম্ভ। আর তা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই আসরে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ কোটি ভক্তের সমাগমের আশা রয়েছে। গোটা চত্বর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। এই পর্বের মধ্যে রয়েছে শাহি স্নানের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।