কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অবস্থিত প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে আগত ও বহির্গামী যাত্রীদের ফ্লাইট দেরিতে চলছে ও বাতিল করা হয়েছে।
জোমো কেনিয়াত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (জেকেআইএ) ৩০ বছরের জন্য ইজারা দেওয়ার জন্য ভারতের আদানি গ্রুপের প্রস্তাবিত চুক্তির বিষয়ে কেনিয়ার বিমান শ্রমিকদের বৃহত্তম ইউনিয়ন বলেছে যে তারা শিল্প সংক্রান্ত পদক্ষেপ নেবে।
কেনিয়া এভিয়েশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন বলেছে, জুলাইয়ে ঘোষিত প্রস্তাবিত চুক্তির ফলে চাকরি হারাবে এবং কেনিয়ার বাইরের কর্মীরা আসবেন।
স্থানীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিটিজেন টিভির ফুটেজে দেখা গেছে, বুধবার সকালে বিমানবন্দরের কয়েক ডজন কর্মী প্লাস্টিকের শিঙ্গা বাজিয়ে 'আদানিকে যেতেই হবে' বলে স্লোগান দেয়।
কেনিয়া সরকার বলেছে যে বিমানবন্দরটি ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি কাজ করছে এবং আধুনিকীকরণের প্রয়োজন রয়েছে তবে এটি বিক্রয়ের জন্য নয়।
এতে বলা হয়েছে, সাইটটি আপগ্রেড করার জন্য প্রস্তাবিত পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ নিয়ে এগিয়ে যাওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
বিমানবন্দর পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কেনিয়া বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জেকেআইএ-তে ন্যূনতম কার্যক্রম সকাল ৭টা থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম 'এক্স'-এ শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, মঙ্গলবার মধ্যরাতে ধর্মঘট শুরু হওয়ার পর জেকেআইএ'র সিঙ্গেল টার্মিনালের বাইরে শত শত যাত্রী লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।
কেনিয়ার নেশন সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার সকালে কিসুমু ও মোম্বাসা শহরের আঞ্চলিক বিমানবন্দরের শ্রমিকদের মধ্যে এই ধর্মঘট ছড়িয়ে পড়ে।
সোমবার কেনিয়ার হাইকোর্ট আদানির প্রস্তাব সাময়িকভাবে আটকে দিয়েছে, যেখানে ভারতীয় কোম্পানি একটি নতুন রানওয়ে নির্মাণ করবে এবং যাত্রী টার্মিনালটি আপগ্রেড করবে, যাতে ইজারা চ্যালেঞ্জ করে বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার জন্য সময় দেওয়া যায়। রয়টার্স সূত্রে খবর।