ফের একবার এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বা সার্ক-এর শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করার প্রস্তাব পেশ করল পাকিস্তান। তবে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সেই প্রস্তাব ফের একবার খারিজ করল ভারত। ভারতের তরফে এই বিষয়ে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে এই বৈঠকের আয়োজনের অনুমতি দেওয়া প্রসঙ্গে কোনও ঐকমত্য নেই।
এর আগে শেষবার সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৪ সালে। প্রায় সাত বছর আগে নেপালে আট জাতিগোষ্ঠীর শীর্ষ নেতারা মিলিত হয়েছিলেন। এরপরের শীর্ষ সম্মেলন পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে উরি জঙ্গি হামলার পর ২০১৬ সালে ১৯তম শীর্ষ সম্মেলন থেকে ভারত ও অন্যান্য দেশ নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।
এই আবহে গত সোমবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি ২০২২ সালে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করার প্রস্তাব রাখেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, ভারত যদি ব্যক্তিগতভাবে সম্মেলনে যোগ দিতে না চায়, তাহলে তারা ভার্চুয়ালি এই সম্মেলনে যোগ দিতে পারে। এর প্রেক্ষিতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগছি বলেন, ‘সার্ক সম্মেলন নিয়ে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে আমরা মিডিয়া রিপোর্ট দেখেছি। ২০১৪ সাল থেকে কেন সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি তার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আপনারা সবাই অবগত। এরপর থেকে কোনও দিক থেকেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি। অতএব, এখনও কোন ঐকমত্য নেই যা শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত করার জন্য ভারত অনুমতি দেবে।’
এদিকে কাশ্মীর নিয়ে বিশ্বের বাকি দেশগুলিকে পদক্ষেপ করার ইমরান খানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘এই বিষয়ে দুটি বিষয় স্পষ্ট করে দিতে চায় ভারত। এক, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। দুই, এই মন্তব্য এমন এক দেশের প্রধানমন্ত্রী করছেন যারা সীমান্ত পার জঙ্গি কার্যক্রম সমর্থন করে এবং ওসামা বিন লাদেনের মতো জঙ্গি নেতাকে আশ্রয় দিয়েছে।’