রাজস্থানের ঘটেশ্বর মন্দির থেকে ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চুরি যাওয়া নবম শতকের নটেশ শিবমূর্তি অবশেষে লন্ডন থেকে পুরাতত্ত্ব বিভাগের হাতে পৌঁছাল।
চুরি যাওয়া মূর্তিটি ব্রিটেনে পাচার হওয়ার খবর গোপন সূত্রে পাওয়ার পরে ২০০৩ সালে ব্রিটিশ সরকারকে সতর্ক করে পুরাতত্ত্ব বিভাগ। তার জেরে এক ব্যক্তিগত সংগ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করে মূর্তির অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হন ব্রিটিশ গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, ২০০৫ সালে লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশন কর্তৃপক্ষের হাতে পাচার হওয়া শিবমূর্তি স্বেচ্ছায় তুলে দেন ওই সংগ্রাহক।
এর পরে কয়েক বছর ধরে লন্ডনের ইনব্ডিয়া হাউসে প্রদর্শিত হয় নৃত্যরত শিবমূর্তিটি। ২০১৭ সালের অগস্ট মাসে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের প্রতিনিধিদল মূর্তিটি রাজস্থানের বরোলি গ্রামের ঘটেশ্বর মন্দির থেকে চুরি যাওয়া শিবমূর্তি হিসেবে শনাক্ত করে। এর পরে মূর্তিটি ভারতে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এই শিবমূর্তি-সহ গত কয়েক বছরে বিদেশে পাচার হওয়া বহু দুর্মূল্য প্রত্ন সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। তালিকায় রয়েছে ১৭ শতকে ব্রোঞ্জের তৈরি নবনীতা কৃষ্ণের মূর্তি এবং দ্বিতীয় শতকে নির্মিত চুনাপাথরের তৈরি মন্দিরগাত্রের নকশাদার দেওয়ালচিত্র। ২০১৯ সালের ১৫ অগস্ট এই দুটি সামগ্রী ফেরত আনে ভারতের আমেরিকান দূতাবাস।
এ ছাড়া ২০১৮ সালের ১৫ অগস্ট দ্বাদশ শতকে নির্মিত ব্রোঞ্জের বুদ্ধমূর্তি উদ্ধার করে ভারতীয় বাই কমিশনের হাতে তুলে দেয় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। ২০১৭ সালে উদ্ধার হয় গুজরাতের বিশ্ব হেরিটেজ সাইট হিসেবে চিহ্নিত রানি কি ভাব থেকে চুরি যাওয়া ব্রহ্মা ও ব্রাহ্মণীর মূর্তি সংবলিত সুপ্রাচীন ভাস্কর্য।