অবশেষে এসে গেল সেই বহু প্রতিক্ষীত মুহূর্ত। ২৫ জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করছেন পদ্মা সেতু। এই সেতুকে ঘিরে বাংলাদেশের সকল স্তরের মানুষের আবেগ ও উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। সারা দেশজুড়েই তৈরি হয়েছে এক উৎসবের পরিবেশ। কিন্তু এই আনন্দের মধ্য়েও লুকিয়ে আছে বিষাদের সুর। আছে প্রিয়জনকে হারানোর দুঃসহ স্মৃতি।
এমনই এক অসহনীয় স্মৃতি বহন করছেন বাংলাদেশের নরাইল অঞ্চলের বাসিন্দা বিজয় ঘোষ। আজ থেকে ঠিক তিন বছর আগে , ২০১৯ সালের ২৫ জুলাই, তিন ঘণ্টা মাদারিপুর ঘাটে আটকে ছিল তাঁর ভাগ্নে তিতাস ঘোষকে বহনকারী একটি অ্যাম্বুলেন্স। অ্যাম্বুলেন্সটি ঘাটে জাহাজের অপেক্ষা করছিল। শেষ পর্যন্ত ঘাটেই মৃত্যু হয় তিতাসের। বিজয় ঘোষের আক্ষেপ পদ্মা সেতু থাকলে তাঁর ভাগ্নেকে হয়তো বাঁচানো যেত।
বাংলাদেশের নরাইল অঞ্চলের ছেলে তিতাস ঘোষ ছিলেন সরকারি পাইলট স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয় তিতাস। স্থানীয় হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। সেই হাসপাতাল থেকে তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যেতে বলা হয়। ঢাকা যাওয়ার পথে মাদারিপুর ঘাটে প্রায় তিন ঘণ্টা কোনও জাহাজ না থাকায় প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে ছিল তিতাসের অ্যাম্বুলেন্স।
বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমকে বিজয় ঘোষ বলেন, সেই দিন ঘাটে তিন ঘণ্টা বসেছিলেন। ঘাটের লোকজনকে অনেক অনুরোধ করেও কোনও কাজ হয়নি। পদ্মা সেতু থাকলে হয়তো তাঁর ভাগ্নে জীবিত থাকত। তীব্র আক্ষেপের সুরে স্মৃতিচারণ করেছেন বিজয় ঘোষ।