হিংসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কোনও রাজনৈতিক দল দেখবেন না, শপথ নেওয়ার পরদিনই সাফ জানিয়ে দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। বৃহস্পতিবার তিনি মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক করেন। পানিসাগর থেকে নির্বাচিত বিজেপি বিধায়ককে প্রোটেম স্পিকার হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
দিল্লি যাওয়ার আগে মানিক সাহা বলেন,'বিধানসভার ফল ঘোষণার পর থেকে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ রাজ্যে অশান্তি ছড়াচ্ছে। আইনশৃঙ্খলাভঙ্গের কোনও কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে দল নির্বিশেষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশে দেওয়া হয়েছে।'
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য, পরিকাঠামো, সংস্কৃতি, পর্যটন, আদিবাসী ও মহিলা উন্নয়ন সংক্রান্ত যে ৭৩টি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দল, তার সবক'টি পালন করতে রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি বন্ধ।' (উত্তরপূর্বে প্রবেশ করা যেকোনও দলকেই মোদীকেই সমর্থন করতে হবে! বার্তা হিমন্তর)
তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার আদিবাসীদের সমস্যার সমাধানে কাজ করে এসেছে, আগামী দিনেও তা চালিয়ে যাবে। তবে তিপ্রা মোথা যে গ্রেটার তিপ্রা ল্যান্ডের দাবি তুলেছে, তা কখনওই মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন।
প্রসঙ্গত, বিজেপি-আইটিএফটি সরকার শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আগরতলা তিপ্রা নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির অন্যান্য নেতারা। এই বৈঠকের পর তিপ্রা মোথা প্রধান প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মা বলেন, তারা সরকারে যোগ দিচ্ছেন না। আদিবাসী সমস্যা সমাধানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক শীঘ্রই একজন আলোচনাকারীকে নিয়োগ করবে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডার উপস্থিতিতে শপথ নেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা-সহ ন'জন বিধায়ক।