জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল টোকিয়ো-সহ জাপানের উত্তরাংশ। তার জেরে প্রাথমিকভাবে উত্তরের উপকূলবর্তী এলাকায় সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। ঢেউয়ের উচ্চতা এক মিটারেও পৌঁছে যাওয়ারও সতর্কতা ছিল। ঘণ্টাদেড়েক পরে অবশ্য তা তুলে নেওয়া হয়েছে। আপাতত বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।
শনিবার স্থানীয় সময় অনুযায়ী সন্ধ্যা ৬ টা ৯ মিনিট নাগাদ মিয়াগি অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয়। মার্কিন ভূ-সর্বেক্ষণ কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা সাত। ভূপূষ্ঠের ৫৪ কিলোমিটারে গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। সেই মিয়াগি অঞ্চলেই আছড়ে পড়েছিল ২০১১ সালের বিধ্বংসী সুনামি। ১০ বছর আগের সেই কম্পনের মাত্রা ছিল নয়। মৃত্যু হয়েছিল ১৮,০০০-এর বেশি।
শনিবার কম্পনের পরও স্থানীয়দের সেই স্মৃতি ফিরে আসে। সরকারি সংবাদমাধ্যমে ইশিনোমাকি সিটির এক বাসিন্দা বলেন, ‘১০ বছর আগে কথা মনে ঘুরছিল। সেদিন আমাদের যা অভিজ্ঞতা হয়েছিল, আমি দ্রুত সরে যাই। আমার হৃদপিণ্ড দ্রুত চলতে শুরু করে।’ তবে এবারের ভূমিকম্পে আপাতত কোনওরকম ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। মিয়াগির বিপর্যয় মোকাবিলা কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, কম্পন এবং সুনামির সতর্কতার পর এখনও কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে এখনও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ফুকুশিমা দাইচি-সহ এলাকার পরমাণু কেন্দ্রগুলিতেও কোনও অস্বাভাবিকত্ব ধরা পড়েনি। টোকিয়োর বিদ্যুৎকেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ফুকুশিমার কুলিং সিস্টেম স্বাভাবিকভাবেই চলছে। সাময়িকভাবে কয়েকটি এলাকায় অন্ধকার নেমে এসেছিল। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে অবশ্য বুলেট ট্রেন-সহ যাবতীয় রেল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।