অনিরূদ্ধ ধর
ফসলের নাড়া পোড়ানো নিয়ে এবার পাঞ্জাব সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে এই নাড়া বা ফসলের অবশিষ্ট অংশ পোড়ানোর জেরে দিল্লিতে ব্যপক দুষণ ছড়াচ্ছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ কৃষকদের বার বার ভিলেন বানানো হয়েছে। কিন্তু তাঁরা তো আদালতে নেই। তাঁদের কথা তো আদালতে শোনা হচ্ছে না।
এদিকে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে পাঞ্জাব সরকারের রিপোর্ট বলছে কৃষকদের সঙ্গে সব মিলিয়ে ৮,৪৮১টি মিটিং হয়েছে। রাজ্যের আধিকারিকরা কৃষক নেতাদের মাধ্যমেও চাষিদের বুঝিয়েছেন যাতে তারা ফসলের গোড়াগুলিকে না পোড়ান। এমনকী ৯৮৪টি এফআইআর করা হয়েছে জমির মালিকদের বিরুদ্ধে। অন্তত ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হয়েছে তাদের কাছ থেকে। পরিবেশের ক্ষতি হবে এই কারণে তাদের কাছ থেকে ১৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে।
বিচারপতি এসকে কৌল ও বিচারপতি এস ধুলিয়া পাঞ্জাব ও দিল্লি সরকারকে কড়া ব্য়বস্থা নেওয়ার জন্য় নির্দেশ দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট পাঞ্জাব সরকারকে প্রশ্ন করেছে, পাঞ্জাব সরকার কেন ফসলের অবশিষ্ট অংশ থেকে জমিকে যাতে মুক্ত করা যায় তার ব্যবস্থা করছে না। এগুলো পোড়ানোর জন্য কৃষকের যেটা প্রয়োজন সেটা হল একটা দেশলাই। তবে মেশিন দিলেই হবে না। মেশিন দিলে ডিজেল, শ্রমিক সব লাগবে। সেই সঙ্গেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, যেভাবে হরিয়ানা সরকার আর্থিক ইনসেনটিভ দিয়ে কৃষকদের ওই কাজ থেকে বিরত করেছে সেটা থেকে শিক্ষা নিতে পারে পাঞ্জাব সরকার।
সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ওই রাজ্যের বহু জমি ক্রমে বন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে। যদি জমি শুকিয়ে যায় তবে গোটা পরিস্থিতির উপর প্রভাব পড়বে। আদালত জানিয়েছে, কৃষকদের গোটা বিষয়টা বোঝা দরকার।
আদালত অ্য়াটর্নি জেনারেলকে বলেন, আপনি কীভাবে ধান চাষের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করছেন আর বিকল্প ফসলের ক্ষেত্রে উৎসাহ দিচ্ছেন। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, দীর্ঘকালীন ক্ষেত্রে এই ধান চাষ কমিয়ে দেওয়ার কী প্রভাব পড়তে পারে সেটা দেখা দরকার। এর তো বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।