বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরেই তাঁর দল আওয়ামি লিগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার বাঁশের লাঠি, লোহার রড এবং পাইপ নিয়ে কয়েকশো ছাত্র এবং রাজনৈতিক কর্মীরা শেখ হাসিনার সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এর পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও নিগ্রহ করে। ঢাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে হাসিনা সমর্থক এবং আওয়ামি লিগের নেতা কর্মীরা তাঁর বাড়িতে যেতে গেলে বাধা দেওয়া হয় এবং মারধর করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে কলকাতার রাজপথে মিছিল হিন্দু জাগরণ মঞ্চের
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিক্ষোভকারীরা বঙ্গবন্ধু যাদুঘরে প্রবেশে বাধা দেওয়ার সময় অসংখ্য মানুষকে মারধর করে এবং তাঁদের ফোন এবং পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখে। সাংবাদিকদেরও তারা হুমকি দেয় এবং ভিডিয়ো ও ছবি মুছে দেয়। বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিয়ে যাদুঘরে প্রবেশ করে। পরে হাসিনা সমর্থকরা যাতে সেখানে ঢুকতে না পারে, তার জন্য সেখানে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেয়। তবে বিক্ষোভকারীদের দাবি, তারা হাসিনার সমর্থকদের সমাবেশে বাধা দিচ্ছে, কারণ তাদের বিশৃঙ্খলা তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এর আগে হাসিনার প্রশাসনের অধীনে ১৫ অগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হত। তবে হাসিনার পদত্যাগের পর নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার তা বাতিল করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ফেরত ট্রাকে করে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, হিলিতে হাতে নাতে ধরল BSF
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় বাংলাদেশের অস্থিরতার কথা বলেন। তিনি আশাপ্রকাশ করেন যে দেশে শান্তি ও সুখ ফিরে আসবে। তাছাড়া, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।