চলছিল বিয়ের আসর। আর চার পাঁচটা বিয়ে বাড়িতে যা হয়ে থাকে। এদিকে, বিয়ের আসরের মাঝে ভোজসভা ঘিরেও ছিল বেশ ভিড়। বিয়ের আয়োজন, খাওয়া দাওয়ার মাঝেই কাটল তাল। বিয়ে বাড়িতে উড়ে এসে পড়ল তাজা বোমা। এখানেই শেষ নয়, মুড়িমুড়ির মতো পাথর এসে পড়ল বিয়ে বাড়িতে। আমন্ত্রিতরা অনেকেই তখন অবাক। অনেকেই বুঝে উঠতে পারছেন না যে আসলে কী ঘটে গিয়েছে। তখনই পুলিশকে খবর দিতেই ধীরে ধীরে স্পষ্ট হল ঘটনা।
এই ঘটনা উত্তর প্রদেশের রামাধিন ইন্টার কলেজের । সেখানে এক বিয়ে বাড়িতে চোরাগোপ্তা পথে খেকে ঢুকেছিল কয়েকজন। এই বিয়ে বাড়িতে তাদের কোনও চেনা কেউ ছিল না। কার্যত একেবারেই আনকোরা অচেনা পরিবেশে কয়েকদল পড়ুয়া ঢুকে পড়েছিল। তাদের টার্গেট ছিল বিয়েবাড়িতে সকলের চোখে ধুলো দিয়ে নিঃশব্দে ফ্রি খাবার খেয়ে বেরিয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। বিয়েবাড়ির সদস্যরা তাদের ধরে ফেলেন। হাজার চেনা মুখের মাঝে অচেনা মুখ স্বভাবতই বাড়ির আত্মীয় স্বজনের নজর কাড়ে। ফলে বহিরাগত বা বাইরে থেকে আসা এই লোকজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলতে কসরত করতে হয়নি বিয়েবাড়ির আয়োজকদের।
তবে এই ধরা পড়তেই ঘটনা বিপত্তি। বিয়েবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে তুমুল বাকবিতণ্ডা শুরু হয় বহিরাগতদের। তুঙ্গে ওঠে উত্তেজনা। কথাকাটাকাটি গিয়ে গড়ায় বীভৎস পরিস্থিতিতে। এরপর ওই বহিরাগতদের বের করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তারপরই ফিরে এসে, বিয়ে বাড়ি উদ্দেশ্য করে ওই যুবকরা তাজা বোমা ছোড়ে বলে খবর। এখানেই শেষ নয়। বিয়েবাড়ি লক্ষ্য করে তুমুল পাথর বর্ষণ হয়। তুমুল ইটবৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি ততক্ষণে হাতের বাইরে বের হতে থাকে। ভরা বিয়ের আসরে উদ্বেগের ছায়া পড়ে।কোথা থেকে কী ঘটে যাচ্ছে, কেউ ঠাহর করতে পারছেন না। তখনই ডাকা হয় পুলিশকে।
এদিকে, পুলিশ এসে জানতে পারে, এই বোমাবর্ষণের কীর্তি ওই যুবকদের। তারা চোরাগোপ্তা পথে বিয়ে বাড়িতে খাবার না পেয়ে ধরা পড়ে ক্ষোভের জেরে ওই কাজ করেছে, বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ওই পড়ুয়ারা লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। পুলিশ গোটা ঘটনা নিয়ে আরও বিশদ তদন্তে নামছে।